বিবিসি স্রোতা জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ছাড়িয়ে কেমন করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হলেন? আমরা কেউ কী ভেবে দেখেছি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক দিকে দার্শনিক, কালজয়ী সাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, কবি পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু একজন রাজনীতিবিদ।
সারা জীবন রাজনীতির সাথেই জড়িত ছিলেন, যৌবনের অনেকটা সময় জেলে কাটিয়েছেন। একজন রাজনীতিবিদ হয়ে তিনি কীভাবে এত বড় মাপের একজন লেখক সাহিত্যিক, দার্শনিককে ছাড়িয়ে গেলেন?
তার কারণ আমরা কেউ বিবেচনা করি না। পশ্চিমবঙ্গের লোকেরাও রবীন্দ্রনাথকে ছেড়ে শেখ মুজিবকে ভোট দিয়েছেন স্রোতা জরিপে। তার কারণ বলছি,
বঙ্গবন্ধু কী মাপের লোক ছিলেন তা আমাদের কল্পনা করারও শক্তি নেই। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এক কবিতায় বলেছিলেন, “সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীরে হে বঙ্গজননী, রেখেছো বাঙ্গালী করে মানুষ কর নি।”
কে জানতো একদিন বঙ্গবন্ধুর মতই এক বিশাল দার্শনিক জন্মাবেন যার লক্ষ এই একটি লাইন। তিনি বিশ্বকবিকে ধরাশায়ী করবেন। একটি লাইন দিয়ে। কেউ জানতো কী?
১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ সাল। বঙ্গবন্ধু প্রত্যাবর্তন করলেন ঢাকায়। এয়ারপোর্টে নামলেন, ফুলে ফুলে সিক্ত তিনি, আর আবেগ আপ্লুত। তার দেশ স্বাধীন, বংঙ্গালী আজ মানুষ। তিনি আজ রবীন্দ্রনাথকে ধরাশায়ী করতে পারবেন? রবীন্দ্রনাথ তখন সারা ভারত বর্ষের বাঙ্গালির সংখ্যা উল্লেখ করে কথাটা বলেছিলেন। কাকতালীয় ভাবে ১৯৭১ সালে পুর্ব বাংলার লোক সংখ্যা ছিলো সাড়ে সাত কোটি। বঙ্গবন্ধু প্রথম কথাটিই বললেন,
“কবিগুরু তুমি আজ মিথ্যা প্রমাণিত হলে, দেখে যাও তোমার বাঙ্গালী আজ মানুষ”। আজ বাঙ্গালির একটি দেশ আছে, থাকার জায়গা আছে। হেরে গেলেন রবীন্দ্রনাথ। স্বর্গে বসেই হয়তো হাসলেন, “হ্যা আমার বাঙ্গালী আজ মানুষ হয়েছে”।
রবীন্দ্রনাথকে চর্চা করার স্থান দিয়ে দিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশ ছাড়া জাতি ছাড়া রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে কেমন করে চর্চা করবে মানুষ? কোলকাতায় সেরকম রবীন্দ্র চর্চা আর হয় না, আর নজরুল, শরতচন্দ্র সবাইকে তো ওরা ভুলেই বসেছে, কারণ তাদের কাছে ভারতীয় সাহিত্যের কদর বেশি বাংলা সাহিত্যের নয়। কিন্তু আমাদের মত বাঙ্গালির কাছে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরতচন্দ্র বেঁচে থাকবেন চর্চার মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে।
এইজন্য যে আমাদের একটা বাংলা দেশ আছে, চর্চা করার স্বাধীনতা আছে। শুধু তাঁদের কথাই বলছি না, আমাদের এই প্রজন্মে বাংলা বই, আর লেখকের সংখ্যা উত্তর উত্তর বেড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক বছর বই মেলায় নতুন বিক্রির রেকর্ড হচ্ছে। বাংলা বই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই পটভূমিটা অথবা সেই সু্যোগটা করে দিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি দেশ দিলেন, আমাদের স্বাধীন ভাবে চর্চা করার স্বাধীনতা দিলেন।
কবিগুরু আমাদের সব দিয়েছেন কিন্তু একটি দেশ দিতে পারেননি । আমরা আজ গর্ব করে বলি, হাজার হাজার বই বিক্রী হয়, বই আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন ছাড়িয়ে যায়, বিভিন্ন দেশে বংঙ্গালির মিলন মেলা বসে এই বংঙ্গালীর সাহিত্যকে ঘিরে। এই সব কিছুই হলো একটি দেশের জন্য। এই ব্যাপারটা আমাদের বুঝার ক্ষমতা নেই, অথবা খুব কম লোকই আছে যারা বুঝতে পারেন। আর এইজন্য বঙ্গবন্ধু ছাড়িয়ে গেলেন রবীন্দ্রনাথকে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment