দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম,পি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে , তাতে করে ২০৪১ সাল নয়, ২০৩৫ সালের মধ্যে এদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে। আওয়ামীলীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ এই বাংলাদেশের জন্মের নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাড়ে ৭ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিয়েছিল এখন ১৬ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে দুই একটা মানুষ এই দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে যদি দুই একটা কথা বলে। এই জনতার ¯্রােতে সেগুলি হারিয়ে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ ৭০ বছরের পরিক্ষিত রাজনৈতিক দল ।
আওয়ামী লীগ ৭০ বছরে যা বলেছে তাই করেছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিল রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। তার সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। ন্যায় পরায়নতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। শেখ হাসিনা একুশে ফেব্রুয়ারি এই শহীদ মিনারের চেতনাকে ধারন করে দেশ পরিচালনা করছেন।
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে দেশ পরিচালনা করছেন। শেখ হাসিনা ৩০ লাখ শহীদের রক্ত স্রোতের ধারায় দাড়িয়ে আছে। শেখ হাসিনা সর্বপরি ৭৫ এর ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে ঢাকার ধানমন্ডির যেই ৩২ নম্বরের বাড়ী রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছিল সেই রক্ত আজ সমগ্র বাংলাদেশের মানচিত্রে ছড়িয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তে বাংলাদেশ লাল হয়ে গেছে। সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না। মিথ্যাচার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ভুল পথে পরিচালনা করা যাবেনা। শেখ হাসিনা বলেছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। তিনি এদেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে তিনি তা করেছেন। এর আগে জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতীল করার কারণে এ বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল।
শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে জাতীর সামনে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার কার্যকর করা হবে। ৫ বছর খালেদা জিয়া সেই হত্যার বিচার কার্যকর করতে দেয় নাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার কার্যকর করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং চলমান আছে। আমরা যা বলি তা করি। আমরা বলেছি দিনবদল করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের সর্বত্র এখন দিনবদলের হাওয়া বইছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিরল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিরলে নবনির্মিত ঐতিহাসিক বিরল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাবের মোহাম্মদ সোয়াইব এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা রির্সোস সেন্টারের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ, কে, এম মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর ও সাধারন সম্পাদক রমাকান্ত রায়।
প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যায়ে নবনির্মিত বিরলের ঐতিহাসিক বিরল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি বিরল উপজেলা পরিষদের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ চত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের আগে প্রধান অতিথি প্রথমে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে ঐতিহাসিক বিরল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর শুভ উদ্বোধন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন ।