আন্দোলনের হুমকি না দিয়ে বিএনপিকে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তাঁর নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে এ মুহূর্তে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই, বিএনপির সাবজেক্টিভ কোনো প্রিপারেশনও নেই।
ক্ষমতার পালাবদল চাইলে, অন্য কোনো অলিগলি পথ না খুঁজে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নতুন করে আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত দশ বছর ধরে আন্দোলনের হাঁকডাক শুনছি, দেশের জণগণ এখন তাদের আন্দোলনের সক্ষমতাও ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছে।
বাস্তবে ৫০০ লোক নিয়ে রাজপথে একটি মিছিলও এ পর্যন্ত বেগম জিয়ার জন্য করতে পারেনি, এ ব্যর্থতা ঢাকবে কী করে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতা প্রদর্শন করে বেগম জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রথমে ছয় মাস, পরে আরো ছয় মাস জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন, তাই বলে এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়, এটি শেখ হাসিনার মহানুভবতা ও মানবিকতার উদাহরণ।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকলে কর্মীরা আন্দোলন করবে কিভাবে? বিএনপির আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ের তর্জনগর্জনই সার।
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞের মতে, আসন্ন শীতে সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানতে পারে, তাই সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, এরই মাঝে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হেনেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও প্রতিদিন ৯০ হাজার থেকে এক লাখ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তাই এ প্রেক্ষাপটে কোনোভাবেই হেলাফেলার সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন ও জীবিকার চাকা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সামান্য অবহেলা আমাদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।