করোনা সংকট মোকাবেলায় বিএনপির প্রস্তাব চর্বিতচর্বণ। সংকট উত্তরণের জন্য এতে নতুন কিছু নেই ৷ তাঁদের প্রস্তাবের অধিকাংশই ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন আছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিএনপির দেওয়া পাঁচ প্রস্তাব প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এর পরে একদিন বলতে শুরু করবে সরকার বিএনপির পাঁচ দফা প্রস্তাব মানলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটতো। তাঁদের এসব প্রস্তাবের অধিকাংশই ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন আছে।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাব চর্বিতচর্বণ, সংকট উত্তরণের জন্য এতে নতুন কিছু নেই ৷ সরকারকে পরামর্শ দিলেও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নিজেদের দায়িত্ব কী তা নিয়ে একটি কথাও বলেনি। যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে মিডিয়ায় ঝড় তোলাই বিএনপির স্বভাব। করোনাকালেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
শেখ হাসিনা সরকার যখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তখন বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েই তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের জবাব অনিচ্ছা সত্ত্বেও দিতে হয়, তা না হলে জনগণ তাঁদের মিথ্যাচারকেই সত্য বলে ধরে নেবে। শেখ হাসিনা সরকার দিন-রাত জনকল্যাণে কাজ করছে আর বিএনপি দেশ ও জাতির দুর্যোগকালে তাদের দায়িত্বশীলতা ভুলে গিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে।
বিএনপি হচ্ছে আওয়ামী লীগবিরোধী সব শক্তির অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং তাঁরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নবিরোধী সব অপশক্তির মোহনা। বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগবিরোধী বলয় হিসেবে তাঁরা মোটেই দুর্বল নন। এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করতে জনগণ ও দেশের সম্পদ ধ্বংস এবং লুণ্ঠনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তি এখনও সক্রিয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি দেশের এ সংকটে মানুষের পাশে তো দাঁড়ায়ইনি, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতেও দেখা যায়নি। লোক দেখানো প্রস্তাব দিয়েই তাঁরা দায়িত্ব শেষ করেছেন।