বিএনপি’র কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে তাদেরকে নির্বাচনে জয়যুক্ত করে দেওয়ার গ্যারান্টি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বার বার নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রের লাশ উপহার দিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তাদের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়ানো। জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলো, সেই ফ্রন্ট ছিলো ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় কাদা ছোঁড়াছুড়ি, আর একজনকে বহিস্কারই সেই ফ্রন্টের সফলতা ছিলো।
এখন আবার তারা জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আসলে বিএনপি’র নেতৃত্বে মোর্চা গঠন জাতীয় ঐক্যের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট।
একটি মহল করোনার টিকা নিয়ে এখনো সংশয় সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের কথা কান না নেওয়ার আহ্বান জানাই। টিকার নেতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি, তাই সকলে উৎসাহের সাথে টিকা গ্রহণে এগিয়ে আসুন।
তিনি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, প্রতিনিধি সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান।