মামুনুল হকের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, রিমান্ডের পঞ্চম দিনে গোয়েন্দা পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক। গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমন নয় বরং সেটিকে সামনে রেখে ২০১৩ এর ‘শাপলা চত্বর’ মত সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সাজিয়েছিলো তারা।
গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন রিমান্ডে থাকা মামুনুল হক। এছাড়া আরও অনেক তথ্য ইনভেস্টিগেশনের স্বার্থে বলতে রাজী হননি মাহবুব আলম। তিনি জানান, মামুনুল নিজ মুখেই স্বীকার করেন, এই ষড়যন্ত্র কার্যকর করতে বিএনপি-জামায়াত অর্থায়ন করেছে। এমনকি সরাসরি বিএনপি জামায়াতের সাথে এগুলো নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছিলো।
মূলত নরেন্দ্র মোদির সফর নয়। বিএনপি-জামায়াত অর্থায়নে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো
গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মানুনুলের স্বীকারোক্তি
এই অর্থায়ন এর এক অংশ পাকিস্তান থেকে এসেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তথ্য আছে। এমন প্রশ্নের জবাবে নিরব ছিলেন তিনি। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ২০১৩ সালের হেফাজত আমীর জুনায়েদ বাবু নগরী গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে যা বলেছিলেন, বর্তমানে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতারা সরকার উৎখাতের সেই কথাগুলোই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে উল্লেখ করেছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এইসব ইসলামী দলগুলো অন্য সংগঠনের আড়ালে বিভিন্নস্থানে ওয়াজের নাম করে ধর্মী উগ্রবাদ ছড়ানো উদ্যোগ নিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠনের নাম দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুরো সংগঠন পরিচালনা করা হয় বিদেশি অর্থায়নে।
এদিকে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ও নানান চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান মাহবুব আলম।