বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববাঙালির নেতা হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপিকে ইতিহাস মেনে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ায় বিএনপির সরকারকে ধন্যবাদ দিতে লজ্জা লাগলেও জাতিকে অন্তত একটা ধন্যবাদ দিতে পারতেন। সেটা দিতেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
বুধবার (১৭ মার্চ) ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সভা, দোয়া ও কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, হাজার হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা আজকে পৃথিবীর সমস্ত বাঙালির জন্য জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ। সেকারণে বঙ্গবন্ধু মুজিব শুধু বাংলাদেশের বাঙালিদের নেতা নন, তিনি সমগ্র পৃথিবীর সব বাঙালির নেতা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ইতিহাসের পাতায় বহু নেতার জন্ম হয়েছে, তারা মানুষকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের দেশে স্বাধীনতা এনেছেন।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু যেভাবে একটি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তাতে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় যে নিজের প্রাণ, সেই প্রাণ বিসর্জন দেবার মানসে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধ করে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা এনেছে, বাংলাদেশের আকাশে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যোদয় করেছে, এমন অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব ইতিহাসে বিরল।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসে মুজিবশতবর্ষে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জানি, বিএনপির অনেক লজ্জা যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অসামান্য অর্জন এসেছে।
কিন্তু সরকারকে ধন্যবাদ দিতে লজ্জা লাগলেও জাতিকে অন্তত একটা ধন্যবাদ তারা দিতে পারতেন। সেটা দিতেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
খলনায়ককে নায়ক, স্কুলের বদলী দপ্তরীকে হেডমাস্টার বানাতে চায়, কিন্তু জাতির অর্জন তাদের পছন্দ নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান হা হুতাশ করে, বাংলাদেশ তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে।
আর বিএনপি হা হুতাশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ এতো এগিয়ে গেছে। দুই হা-হুতাশে মিল আছে।
ইতিহাস বিকৃত করবেন না, ইতিহাসকে মেনে নিন, যারা ইতিহাস মানে না, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না’ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন ড. হাছান।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য এড. উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় সহসভাপতি শেখ মোহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সংগঠনের অপর নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য দেন।
সভাশেষে হাছান মাহমুদ আয়োজক ও অতিথিদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন, দোয়ায় অংশ নেন এবং কৃষকদের মাঝে কৃষক লীগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সার বিতরণ করেন।
এর পরপরই বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররামে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়ায় যোগদান করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।