২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে জোরপূর্বক গুম। প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ)-এর মতে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৫০৭ জন মানুষ জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৬২ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। জীবিত ফিরেছেন ২৮৬ জন। বাকি ১৫৯ জনের ভাগ্যে কি ঘটেছে বা তারা কোথায় আছেন, তা এখনও অজানা এমনি তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
তারা জানায়, স্বাধীন মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন। প্রতিশোধ নেয়ার আতঙ্ক ছাড়াই সমালোচকদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের অনুমতি দিতে হবে ।
১১ই আগস্ট নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ: রাইজিং এটাকস অন ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এন্ড পিসফুল এসেম্বলি মাস্ট বি আর্জেন্টলি স্টপড’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্প্রতি ধারাবাহিক যেসব হামলা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। সম্প্রতি একজন ছাত্রনেতা জোরপূর্বক গুম সহ সাম্প্রতিক হামলাগুলোর আলোকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটির ২৭ বছর বয়সী ছাত্র ও একজন ছাত্রঅধিকার কর্মী আশরাফ উদ্দিন মাহদিকে গত ৬ই আগস্ট স্থানীয় সময় রাত ১১টায় জোর করে গুম করা হয়। আত্মীয়দের বাসায় বেড়িয়ে তিনি যখন বাসায় ফেরেন তখন রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। ৪৮ ঘন্টা তাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়।
নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র চাপ সৃষ্টির পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মাহদির রয়েছে অনলাইনে বিপুল পরিমাণ অনুসারী। তিনি সরকারের একজন সমালোচক।অপহরণকারীরা তাকে মুক্তি দিয়েছেন। তবে শর্ত দিয়েছেন, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনামুলক পোস্ট দেয়া বন্ধ করতে হবে তাকে।