আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাত একটার দিকে নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি চারদিন ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলায় আহত হলে তাকে হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তী করা হয়। এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা এ হামলার ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে কথিত স্ত্রীসহ হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক অবরুদ্ধ হন।
এ ঘটনা জানাজানির পর মামুনুলের সমর্থনে বের হওয়া মিছিল থেকে রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকায় মুহিবুল্লাহসহ তিনজনের ওপর হামলা হয়। প্রায় ৪০০ জনের মিছিল এগিয়ে যাবার সময় দক্ষিণপাড়ার মুখে মহিবুল্লাহ, জব্বার এবং লিটনকে পেয়ে হামলা করে। জব্বার ও লিটন কোনোমতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মুহিবুল্লাহকে এলোপাতাড়ি নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে।
তাকে প্রথমে চন্দ্রঘোনা হাসপাতালে, এরপর নগরীতে নিয়ে যাওয়া হয়।’বাকি দু’জন হলেন- কোদালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন।
মৃত মো. মুহিবুল্লাহ (৪৬) রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি।