বিএনপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল বারী বাবু মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে (এপোলো হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল।
তারা জানান, শফিউল বারী বাবু বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ। সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।
শফিউল বারী বাবুর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেও জানান শায়রুল কবির খান। মৃত্যু কালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন বাবু।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে রাত ১টা ৫২ মিনিটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে আনোয়ার খান মর্ডাণ হাসপাতাল থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রচুর শ্বাসকষ্ট থাকায় শফিউল বারী বাবুকে সোমবার বেলা ১১ টায় তাৎক্ষণিকভাবে রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
গত বেশ কিছুদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন বলে জানান স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, শফিউল বারী বাবু বেশ কিছুদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণজনিত রোগে ভুগছিলেন। এর ফলে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি রাজধানীর ইস্কাটনের বাসাতেই ছিলেন। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দ্রুত তাকে আনোয়ার খান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শফিউল বারী বাবুর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলেও জানান গোলাম সারোয়ার।
এদিকে শফিউল বারী বাবুর প্রথম জানাজা সকাল ১০ টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।