হত্যা গুম এবং নিধন করার সংস্কৃতির সর্বশেষ রক্তক্ষয়ী ফলাফল হচ্ছে মেজর সিনহা। করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ, লণ্ডভণ্ড স্বাস্থ্যব্যবস্থা ,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে কয়েক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের অভাব ও নিরন্ন মানুষের হাহাকারে এক নজিরবিহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আ স ম আবদুর রব বলেছেন, রাষ্ট্রীয় শক্তির গভীরে দুর্নীতি অদক্ষতা ও অপশাসন বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেআইনি কাজে ব্যবহারের ফলে দুর্নীতি অদক্ষতা ও অপশাসনের যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে শুধু বড় বিপর্যয় নয়, ক্রমাগতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পথে ধাবিত হবে।
জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এবং জনগণ গণতন্ত্রের উপযোগী নয় বিবেচনা করে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার কারণে সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থা দুর্নীতি নির্ভর হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি অদক্ষতা হত্যা গুম অতীতের সকল স্বৈরাচারকে ছাপিয়ে গেছে।।
দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন ব্যবস্থা এবং জন বিচ্ছিন্ন সরকারের কারণে আঞ্চলিক পরাশক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছে।
মহামারি সংকট মোকাবেলায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে যে লণ্ডভণ্ড অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আধুনিক বিশ্বে বিরল। জনগণের মূল্যবান সম্পদ ‘জীবন’ সুরক্ষা দিতে সরকারের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই। বরং প্রতিদিনের মৃত্যুসংখ্যাকে সরকার সফল হিসাবে বিবেচনায় নিচ্ছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা ৬ কোটি ৫৩ লাখ মানুষ হতদরিদ্র হয়ে পড়েছে বলার পর ও সরকার অর্থনীতিতে সফল হিসেবে আত্মপ্রচার করছে।
আর্থসামাজিক কোন সংকট নিরসন করতে পারছে না। ফলে গণ আন্দোলন গণঅভ্যুত্থান জনবিস্ফোরণ প্রতিহত করতে প্রতিমুহূর্তে ভিন্নমতকে বল প্রয়োগে স্তব্ধ করছে অন্যদিকে পরাশক্তির বলয়ের মাঝে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকছে। ক্ষমতার বৈধতার নৈতিক সংকট দুর্নীতি ও অপশাসনের ফলে রাষ্ট্র বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
জনগণের অংশগ্রহণ ভিত্তিক অর্থাৎ শ্রম কর্ম পেশার জনগণের রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার মধ্য দিয়েই এক নতুন রাজনৈতিক মডেল প্রবর্তিত হবে। যা বিদ্যমান নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তে নৈতিক মানবিক এক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিস্থাপিত হবে।
বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য সা কা ম আনিসুর রহমান খান, মোঃ সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এডভোকেট আব্দুল হাই, এডভোকেট আব্দুর রহমান মাস্টার ও আব্দুল জলিল চৌধুরী।