সম্পাদকীয় প্রতিবেদন: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ বাতাস নিসর্গ প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল আকাশেরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রিয়াদ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক আয়োজিত শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শোক সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিয়াদ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব মনিরুল ইসলাম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন, বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়নাল আবেদিন, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো: আবেদিন, সহ সভাপতি আঃ আজিজ লিটন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এনায়েত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাছান মুরাদ রুবেল চৌঃ,মোঃ আসাদ,সুমন করিম, আইন সম্পাদক মোঃ রউফ মিয়া। বিশেষ বক্তা ছিলেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সায়েদ মোল্লা।
প্রধান অতিথী, মনিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। তিনি বলেন আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মহা নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু চিরকাল বাঙ্গালী জাতির মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি বলেন- জাতির জনকের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রধান বক্তা, ফারুক হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত, নিপীড়ন-শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু যারা তার আদর্শের শত্রু ছিলো তারা পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট তাকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। এটা ছিলো ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকা-ন্ড।
দপ্তর সম্পাদক, তানভীর হাসান তাঁর বক্তব্য বলেন, ১৫’ই আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবার কিংবা বঙ্গবন্ধুকেই শুধু হত্যা করা না, গোটা উন্নত বাংলাদেশকে হত্যা করা। খুনি মোস্তাকচক্র পরবর্তীতেও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, বঙ্গকন্যার ট্রেনযাত্রায় হামলা দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করারই উদ্দেশ্য ছিলো। বঙ্গকন্যা সব বাধাকে উপেক্ষা করে দেশ গঠনে এগিয়ে যান, আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ ওনারই অবদান। কিছু কুচক্রী মহল এখনো দেশের অর্জনে গুজব ছড়াচ্ছে। কারন তারা দেশের ভালো চায়না। রাজপথে কিংবা অনলাইনে সম্মেলিত ভাবে এদের প্রতিরোধ করতে হবে।
প্রবাসী কন্যান সম্পাদক, কাজী শাহিন বলেন, দেশের অর্জন যারা স্বীকার করেনা তারা দেশদ্রোহী। এদের সর্ব পর্যায়ে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুসাস্থ কামনা করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে জোর দেন।