সাম্প্রতিক শিরোনাম

শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম চালিয়ে যাব: ইশরাক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিএনপির বৈদেশিক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।

এই সরকারের বিরুদ্ধে আজকে সবাই জাগ্রত, সারা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আপনাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

আমরা কাপুরুষ জাতি না, আমরা যোদ্ধা জাতি। আমার বাবা একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এই ঢাকা শহরে আমার বাবা যুদ্ধ করেছিলেন এবং পাকিস্তানিদের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করেছিলেন। আমি সেই বাবার সন্তান হয়ে সবার সামনে প্রতিজ্ঞা করছি, শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

আমরা এই প্রেসক্লাবের সামনে গণআদালত বসাবো। জনগণ হবে এর বিচারক, জনগণের সামনে এই খুনি ওসি প্রদীপসহ যারা বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছেন, সকলের তালিকা আমাদের কাছে আছে।

তাদের সকলকে আমরা বিচার করব। এটাই হলো শেষ কথা, কাউকে ক্ষমা করা হবে না।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে ইশরাক বলেন, যাদের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন হয়, তাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করে তাদেরকে হত্যা করছেন। এটি বন্ধ করেন। তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না, ইতিহাস আপনাদের কখনও ক্ষমা করবে না। অবশ্যই একদিন আপনাদের বিচার হবে।

দেশের সকল স্বাধীনচেতা মানুষ আপনারা যে যেখানে আছেন, আমি জানি আওয়ামী লীগেও অনেক ভালো মানুষ রয়েছেন, তারা আজকের এই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধা করেননি। আপনারাও আমাদের এই কাতারে শামিল হন, জনগণের কাতারে শামিল হন।

এই দেশটা সকল জনগণের। এদেশে সকলের সমানভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। আপনারা নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করবেন আর আমরা সেটা দেখবো সেটা বেশিদিন সহ্য করা যায় না।

একজন নিরস্ত্র সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটা কি আমরা এই বাংলাদেশে প্রথম দেখতে পেয়েছি? ২০০৯ সালে এই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুধুমাত্র বিরোধী দলকে দমন করার জন্য তারা খুন, গুম, হত্যা, মামলা, হামলার পথ বেছে নিয়েছে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত বাংলাদেশে এটি হওয়ার কথা ছিল না। আমি আমার বাবার সাথে বাংলাদেশকে নিয়ে দীর্ঘ সময় আলাপ করতাম। তিনি বলতেন, যেই গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ করেছি আজকে, প্রায় ৫০ বছর হলো সেই গণতন্ত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমি বলতে চাই, আমরা আজকে যে প্রতিবাদ করছি সেটা যদি এই সরকার আপনারা শুনতে না পান, আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু প্রমুখ।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...