মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ছাত্রদল সেদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সেভাবে প্রতিরোধ করেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি বলতে চাই এই প্রতিরোধের দেয়াল আরো শক্ত করতে হবে।
নিজেরা নিজেদের মনে সিদ্ধান্ত নেন লড়াই এখন কেবল খন্ড খন্ড নয়, ছোট-ছোট, খন্ড খন্ড লড়াই করতে করতে, সেই লড়াইকে সাথে করে এক জায়গা নিয়ে একবার সবাইকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে- তোকে চাই না।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্বাধীনতা সূর্বণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
মান্না বলেন, সবাই মিলে আমরা একটা সময় ঠিক করব এবং এই মঞ্চে যারা আছেন তাদের জন্য বলি, এই মঞ্চে যারা নেই তাদেরকে বলি, যারা আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে নেই বাইরে আছেন সবাইকে বলি- চলেন সবাই মিলে এক সাথে বাঁচবার জন্য লড়াই করি জীবনবাজী রেখে। আমাদের দাবি একটাই-এই অবৈধ সরকারকে চলে যেতে হবে। একবার যদি পথে নামি আর পথ থেকে আসবো না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা চলে না যায়-আজকের দিনে এটাই আমাদের শপথ হোক। তাহলে আমি মনে করি, আমাদের পঞ্চাশ বছরপূর্তি সফল হবে।
সরকার স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করছে উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় কমিটি আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে।
আমরা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের উদ্দেশ্যে জনগণের কাছে, নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা। সেইজন্য আমরা ৩রা মার্চ পালন করছে। ইতিমধ্যে কোনো দল সেটা করেনি।
যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারাও কিন্তু এই দিবসটি স্মরণ করতে চাই না। কেনো চায় না। কারণ গত একদশক ধরে তারা বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরছে। কেননা যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, তারা স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট ছিলো এবং নতুন পদবী অর্জন করেছে আন্তর্জাতিকভাবে মাফিয়াতন্ত্র।
এই যে তারা মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে তারা এই দেশের মানুষকে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে চায় না। যদি প্রকৃত ইতিহাস দেয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক পেছনে পড়ে যায়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর প্রমুখ।