সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলে সরকার পতনের জন্য সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
তিনি বলেছেন, সমস্ত শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষকে আহ্বান জানাতে চাই। ১৯৭১ সালে যে চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য তার জন্য আরেকটি লড়াই আমাদের করতে হবে। কারো হুকুমের দাস হতে চাই না।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক আবাসস্থল গড়ে তুলতে চাই। সে জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমাদের ওপর যে দানব বসে আছে, তাকে সরাতে হবে- কথাটা আমার না, এ কথা বলেছিলেন সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা।
তিনি বলেন, লেখক ব্লগার মুশতাক আহমেদকে শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে একটি লেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ছয় মাস তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। শুধু মুশতাক আহমেদ একা নন এ রকম বহু মানুষকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আটক রাখা হয়েছে।
আপনারা দেখেছেন সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় আমাদের ছাত্রনেতাদের কি অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে গত কয়েকদিন আগে। হাসপাতাল থেকে একটি ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়। আমরা জানতে চাই জনগণের প্রতিপক্ষ কেন পুলিশ? প্রতিপক্ষ তো আপনারা বানিয়েছেন।
গণমাধ্যমের সামনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরেকজন নির্বাচন কমিশনারের সাথে ভীষণ তর্কযুদ্ধ করেছে, একজন বলেছেন এখনতো নির্বাচন হয় না। আমরা ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাই না সে জন্যই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটিতে সে সব বীরযোদ্ধাদের সামনে নিয়ে এসেছি।
আমরা ইতিহাসে যার যা প্রাপ্য সেটি তাকে দিতে চাই। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্ব দিয়েছিল নির্যাতিত হয়েছিল তাদের আওয়ামী লীগ স্মরণ করতে চায় না।
সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম এর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।