সরকার যদি জিয়াউর রহমানের বীরোত্তম খেতাব বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা হবে স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা এবং এই সরকার যে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশ্বাস করে না, সেটাই প্রমাণিত হবে।
সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলছি, জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) কোনো এখতিয়ার নেই এই বিষয়ে (জিয়াউর রহমানের বীর-উত্তম খেতাব বাতিল) সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
আর সরকার যদি এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে চরম বিশ্বাসঘাতকতা হবে স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং এই সরকার যে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশ্বাস করে না সেটাই প্রমাণিত হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও তথ্য তুলে ধরছি।
মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও উপাত্ত যেভাবে আমরা উপস্থাপন করছি, তাতে আমরা দেখতে পারছি যে যাঁরা এখন সরকারে আছেন- আওয়ামী লীগ, তাঁরা নানাভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে ইতিহাসকে খণ্ডিত করছেন, আবার ইতিহাসকে তাঁরা বিকৃত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন।
আপনারা জানেন যে মুক্তিযুদ্ধের যদি প্রকৃত ইতিহাস বলতে যাই সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে- তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেউ লিখতে পারবে না।
আমরা বিভিন্ন সভায় ইতিমধ্যে বক্তব্য রেখেছি যে বাংলাদেশে কোনো একজন সেনা অফিসার পাকিস্তানের ছাউনি থেকে প্রথম যে পাকিস্তান ও তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রিভোল্ড করেছে, তার নাম অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের জিয়াউর রহমান।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আমরা প্রকৃত সত্যগুলো তুলে ধরছি বলে আওয়ামী লীগের সহ্য হচ্ছে না, বর্তমান সরকারের সহ্য হচ্ছে না।
সেই কারণে তারা বিকৃত ইতিহাস দিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। সেই কারণে আপনারা দেখবেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তার পরিবার ও বিএনপিকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। কারণ তাঁরা দুর্বল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ৫০ বছরে সব গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস যদি আমরা পর্যালোচনা করি, সেখানে আওয়ামী লীগ আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যায়। সেখানে বিএনপির সব ক্ষেত্রে সফলতা।
যেমন স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকে কারা হত্যা করেছেন? আজকে যারা ক্ষমতায়, ৭৫ সালে বাকশাল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। আবার কে এই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন? যিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, সেই জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বাকশালকে মাটি দিয়ে।
আবার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আপসহীন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই যে ইতিহাস, তাতে প্রত্যেক জায়গায় আওয়ামী লীগ পেছনে পড়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থায়ী কমিটির সদস্য করোনায় আক্রান্ত সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরীর আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান বিএনপি মহাসচিব।
এ ছাড়া বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর জন্যও দোয়া চান মির্জা ফখরুল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment