সাহস করে মামলা করায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে সাবাস জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর কিভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে, মুশতাক কিভাবে মারা গেছেন; তার দু’টি ঘটনা মাত্র প্রকাশ পেয়েছে।
আমি কার্টুনিস্ট কিশোরকে বাহবা দিতে চাই। তিনি নিজের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন করেছেন। সবাইকে এই সাহস নিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই সরকার ডিজিটাল আইন করেছে দাবি করে ফখরুল বলেন, এই সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। তারা জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে ভোটের আগের রাতে ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। এই আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। যুবদল নেতা মজনুসহ এই আইনে গ্রেপ্তার সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যে মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরিত করা হয়েছে।
আজকে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। যারা রাজনীতি করেন না, তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা এতো ভয় পান কেন? সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পরও চারদিক বন্ধ করে নেতাকর্মীদেরকে সমাবেশে আসতে দেন না। কারণ আপনারা জানেন নেতাকর্মী ও জনগণ যদি জেগে ওঠে, তাহলে আপনাদের এই বেআইনি ক্ষমতা আর টিকে থাকবে না।
আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সকল চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে তিনি আরো বলেন, সরকার আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করুন। ২০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে দেয়া গায়েবি মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।