বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, রিজেন্টের সাহেদ যেমন তার সরকারও তেমন। কেননা জেকেজি ও রিজেন্ট মানুষকে করোনার টেস্টের নামে মৃত্যুর সনদ দিয়েছে। রিজেন্টের শাহেদকে গ্রেফতারের বিষয়টি কোনো নাটক কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন রিজভী।
মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এইচ-ড্যাব)। ডাঃ অহিদুল ইসলাম চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথিক ফোরামের সভাপতি ডাঃ শামসুজ্জোহা আলম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল আলম সেলিম, মহাসচিব ডাঃ শাহজালাল আহমেদ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি ড্যাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করছে। এটা মানবতাবাদী কর্মকাণ্ড। আসলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে যারা এই কাজ করছেন তারা সত্যিকারের করোনা যোদ্ধা।
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দেশের ক্ষমতাসীনরা দেশের মানুষ নিয়ে কোনো কাজ করেনি। আসলে কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায়না। তেমনই স্বভাব যায় না মলে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির সাথে সরকার ও তাদের মন্ত্রী এমপিদের ছেলে মেয়েরা জড়িত।
তিনি বলেন, আজকে জেকেজি ও রিজেন্ট মানুষকে করোনার টেস্টের নামে মৃত্যুর সনদ দিয়েছে। কিন্তু তাদেরকে ধরা হয় না। আর আমাদের মানিকগঞ্জের ছোটো মেয়ে পলি, নোয়াখালীর টিটু হায়দার, ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামকে গ্রেফতার করেন।
রিজভী বলেন, এই যে রিজেন্টের সাহেদকে গ্রেফতার হলো এটা নাটক। সাহেদের মা আওয়ামী মহিলা লীগের নেতারা। তাহলে সাহেদ হাওয়া ভবনের লোক হয় কী করে? তার কেলেংকারী ফাঁস হওয়ার আগে তো তিনি আওয়ামী লীগেরই লোক। তার অতীতের টকশোতে বক্তব্যে শোনা যায় যে, সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সিপাহী এবং আইজিপি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত ও সচিব থেকে চৌকিদার পর্যন্ত সবাই এই সরকারকে চায়। আসলে যেমন সাহেদ তেমন তার সরকার।
রিজভী বলেন, আসলে সুধা ভবনের লোক দুর্নীতি করলে তারা হাওয়া ভবনের লোক হয়ে যায়। এসব বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটাই আওয়ামী লীগের নীতি। তারা তো মৃত মানুষের নামে হজ্জ পালনরত মানুষের নামে মামলা দিয়েছে। কারণ জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে শেখ হাসিনা এসব করছে। আজকে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কারণে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।মূলত যারাই জনগণের জন্য কাজ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন আপনারা যা কিছু বলেন না কেনো জনগণ তা বিশ্বাস করে না।
তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করেই পুলিশ এখন শরীয়তপুরের ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নূর উদ্দিন অপুকে রিমান্ড নিয়েছে। কারণ তাকে চাপ দিয়ে জোর করে কোনো তথ্য বের করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। এটা নাটক ছাড়া কিছু নয়। যাতে সাহেদ ও জেকেজির কেলেংকারী আড়াল হয়ে যায়। আজকে কার কী পরিণতি হবে কেউ জানিনা। তারপরও সামর্থ্য মোতাবেক কাজ করে যাবো।