সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক হামলায় আক্রান্ত সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আজ ২৩ মার্চ বাম জোটের নেতৃবৃন্দ দেখা করেছেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে প্রগতিশীল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থি ছিলেন। বাম জোট ও প্রগতিশীল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তাঁদের ক্ষোভ, হতাশা ও অনিশ্চয়তার কথা তুলে ধরেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের সঙ্গে নেতৃবৃন্দ দেখা করার পর বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবির সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আবু হাসান টিপু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা উজ্জ্বল রায়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, উদীচীর নারায়ণ দাস, জয়ন্ত সরকার, তরুণকান্তি দাস, চম্পা তালুকদার প্রমুখ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন সিপিবির নেতা নিরঞ্জন দাশ খোকন।
প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে সাম্প্রদায়িক শক্তি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একের পর এক সাম্প্রদায়িক হামলা হলেও, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বিচার না হওয়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। শাল্লার গ্রামবাসী হামলা হতে পারে আঁচ করে পুলিশকে আগে জানালেও, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকার কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িকতা, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার আহŸান জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি কারাবন্দী ঝুমন দাসের মুক্তি, ৮৮টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লাখ টাকা করে দেয়া, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য দিরাই ও শাল্লা উপজেলার ইউএনও এবং ওসিদের প্রত্যাহার, আক্রান্তদের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান।