রোববার ভোর থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানিনগর ও মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা চালান। এ সময় রাজধানীর ডেমরা, কদমতলী ও যাত্রাবাড়ী থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকাসহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা এলাকায় অবস্থান নিতে থাকে হেফাজতের লোকজন। হেফাজতের কর্মসূচিতে বিএনপি-জামাত লোকজন ঢুকে হামলা ভাংচুর করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন,
- পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী
- ২০২৩ এর সফল ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাইমন সাদিক
এছাড়া হেফাজতের কর্মীরা জানায় তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিলো, কিন্তু সেখানে বিএনপি ও জামায়াত এর লোকজন ঢুকে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কর্মসূচি রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। তাদের অভিযোগ বাইরে থেকে বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। যার ফলে হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকা থেকে শুরু করে ডেমরা-মাতুয়াইলের সাইনবোর্ড পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে র্যাব-পুলিশ ও বিজিবির দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন কাঁদানে গ্যাস, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এদিকে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ার এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টায় হরতাল সমর্থকদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়ে বিজিবি। এ সময় শাকিল নামে এক পথচারীসহ ৫জন হেফাজতকর্মী গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এ ছাড়া সকাল থেকেই হেফাজত ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশতাধিক হেফাজতের নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০ জন হরতাল সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তনূর খান শান্ত নেতৃত্বে সাইনবোর্ড সড়কের বাদশা মিয়া রোডে হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। ধোলাইপাড় কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের নেতৃত্বে হরতালবিরোধী লাঠি মিছিল হয়।