চক্রান্তকারীদের পরিকল্পনা ছিল তৎকালীন বিএনপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং ছলে-বলে-কৌশলে ক্ষমতায় এসে বিএনপি নেতাকে বিপর্যস্ত করা-অভিযুক্ত করা।
বিএনপির তৎকালীন সরকারকে অভিযুক্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ওই ঘটনা যে পরিকল্পিত তা বোঝা যায়।
হঠাৎ করে পুলিশকে না জানিয়ে মুক্তাঙ্গন থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, আজকে আমরা এমন একটি অবিচারের রাজ্যে বাস করছি, যেখানে চলছে ভয়ংকর অবিচার। ন্যায়বিচার শুধু নিরুদ্দেশ নয়, ন্যায়বিচারের অর্থ কী এটা আগামীদিনের ছাত্ররা গবেষণা করার সুযোগ পাবেন।
ন্যায়বিচার দূরের তারা। দূরের তারার মতো দেখতে হয় ওই যে দূরে যে তারা দেখা যাচ্ছে ওইটা মনে হয় ন্যায়বিচার।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাকে মেরে ফেলার অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট হচ্ছে একটা বিরাট পরিকল্পনা। ভয়ংকর আক্রমণের আগেও আমাকে অনেকবার আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু এটি ছিল ভয়ংকর আক্রমণ। এর কারণ আছে।
উনি প্রধানমন্ত্রী একটু আধ্যাত্মিকভাবে বিষয়টা বলতে চেয়েছেন। নিশ্চয়ই কারণ একটা তো আছেই, যেটা আমরা বলেছি সেদিন এলোপাতাড়ি গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সরকার যদি করে আর সরকার যদি শেখ হাসিনাকেই টার্গেট করে এলোপাতাড়ি হামলা হবে কেন? সেটা তো একেবারে টার্গেট করে প্রধান ব্যক্তিকে করতে পারত।
তা তো হয়নি, এলোপাতাড়ি হয়েছে। উনি যদি প্রধান টার্গেট থাকেন, তাহলে উনি সেদিন নির্বিঘ্নে গাড়িতে উঠে গেলেন কিভাবে?
সেদিন বোমা হামলার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিচলিত হয়েছিলেন। তিনি সিএমএইচে আইভি রহমানসহ আরো যারা আহত হয়েছিলেন তাঁদেরকে দেখতে গিয়েছিলেন, খোঁজখবর নিয়েছিলেন।
সেখান থেকে গিয়েছিলেন সুধা সদনে। কিন্তু সেদিন তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন ঢুকতে দিল না। আপনার ছাত্রলীগ, যুবলীগ শুধু ঢুকতে দেয়নি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ করেছে। এর কারণ কী? বিদেশ থেকে গোয়েন্দা বাহিনী আনা হলো তদন্ত করতে, তাদেরও কেন সহযোগিতা করলেন না?
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।