বৃহস্পতিবার ৯ জিলহজ (সৌদি আরবে) স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পালিত হবে পবিত্র হজ। এবার পবিত্র হজ পালন করবেন ১ হাজার হাজী। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর সীমিত পরিসরে হজ পালনের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এ কারণে নিবন্ধনকৃত ১০ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার জনকে নির্বাচিত করে গত ২৫ জুলাই থেকে আবাসিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
শারীরিক সুস্থতাসহ হজের প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ সমাপ্ত করেছেন হাজীরা। এবারই প্রথম সৌদি আরবে অবস্থানকারী বিশ্বের ১৬০টি দেশের নাগরিকরা পবিত্র হজে অংশ নিচ্ছেন।
কাবা শরিফ ও কালো পাথরে (হাজরে আসওয়াদ) চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না। আরাফাতের ময়দান ছাড়া সব সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে। আগামীকাল এখানে হাজীরা জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। এর আগে আজ বুধবার ৮ জিলহজ (সৌদি আরবে) মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন হাজীরা। আগামীকাল সারা দিন আরাফাত ময়দানে অবস্থান শেষে মুজদালিফায় যাবেন এবং রাতযাপন করবেন।
শুক্রবার ১০ জিলহজ জামারায় শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারবেন। এজন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে (সৌদি কর্তৃপক্ষ এসব পাথর সরবরাহ করবেন)। তাই এবার মুজদালিফা থেকে শয়তানকে ছুড়ে মারা কঙ্কর সংগ্রহ করতে হবে না। এভাবে পরপর আরও দুই দিন শয়তানের উদ্দেশে কঙ্কর মারতে হবে। এরপর মাথা মু-ন করে কোরবানি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রথম দিনের কঙ্কর মারা শেষ হলে চলমান হজ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব হাজীকে মিনায় নির্দিষ্ট আবাসনে থাকতে হবে।
মহামারীর কারণে এবার কোনো বিদেশিকে হজ করতে যাওয়ার সুযোগ দেয়নি সৌদি আরব। যারা আগে থেকে সেখানে (সৌদি আরবে) অবস্থান করছেন শুধু তারাই হজ পালন করতে পারবেন। মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও জামারার হজের কার্যক্রমে প্রতি দলে ২০ জন করে অংশ নেবেনএক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের সময়ও ২০ জন করে দলে থাকবেন।
হজ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কারও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও হাঁপানি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে তিনিও হজে অংশ নিতে পারবেন না। সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এসব জানানো হয়েছে। হজ পারমিট ছাড়া হজের জন্য পবিত্র স্থান মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে প্রবেশ গত ২৫ জুলাই থেকে হজের পঞ্চম দিন ১২ জিলহজ পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকছে। হজ পালনকারীরা যেখানেই সমবেত হোন না কেন, দুজনের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। আরাফাত ও মুজদালিফায় হজ পালনকারীদের অবশ্যই নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে হবে।
সে ক্ষেত্রে হজ বিধিবিধান কড়াকড়িভাবে মেনে চলতে হবে। মিনার তাঁবু এলাকার ৫০ বর্গমিটারের মধ্যে ১০ জনের বেশি হজ পালনকারী থাকতে পারবেন না। এ ছাড়া কাবা ও কালো পাথরের চারপাশে অবরোধ দেওয়া থাকবে যাতে কেউ কাছে না যেতে পারেন। তাওয়াফের জন্য কাবার চারপাশ এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানোর স্থানকে প্রতি দল হজ পালনকারী ব্যবহারের আগে ও পরে জীবাণুমুক্ত করা হবে।