মনে করুন, আপনি দরজা বন্ধ ঘরে একা আছেন, ইনটার নেট খুলে বাজে জিনিস দেখবেন, বা বেগানা নারি-পুরুষ অবৈধ যোগাযোগ করবেন, কিন্তু চিন্তা করলেন যে কেউ নাদেখলেও আল্লাহ তো দেখছেন!
তাঁর কাছে দাঁড়িয়ে হিসেব দিবো কি ভাবে?
জাহান্নামের আগুণ ও কবরের আযাবের কথা ইত্যাদি ভেবে গুনাহ করা থেকে বিরত হলেন- এটা আপনি আল্লাহর ক্বলবী যিকির করলেন!
ক্বালবী ইবাদত বা অপ্রকাশ্য ইবাদত – যা শুধু অন্তর দিয়েই করা যায়। যেমন :
*ইমান,
*ইখলাস,
*ইহসান,
*ভাল আমলের নিয়ত,
*আল্লাহর কাছে আশা -আকাঙ্ক্ষা,
*আল্লাহকে ভয়ে হারাম থেকে বিরত থাকা,
*আল্লাহ সম্পর্কে ইলম হাসিল করা,
*আল্লাহর নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা,
*আল্লাহ কে ভালবাসা,
*আল্লাহর জন্য ভালবাসা, আল্লাহর জন্য ঘৃণা,
*আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা,
*তাওয়াক্কুল,
*তাক্বওয়া,
*আল্লাহর সিফাত, কর্ম উলূহিয়াহ ও সৃষ্টি ইত্যাদি নিয়ে *চিন্তা ফিকির গবেষণা করা,
*আল্লাহমূখী হওয়া,
ইত্যাদি হলো ক্বলবী যিকির!
অনেকে মনে করে তাসবীহ তাহলীল ইত্যাদি গুলো চুপে চুপে পাঠ করলে তাকে ক্বালবী যিকির বা জিকরে খফী বলে- এটা ভুল ধারণা। এগুলো সবই মৌখিক যিকির-আস্তে পড়ুন বা জোরে পড়ুন!
মহান আল্লাহ বলেনঃ
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيٰمًا وَقُعُودًا وَعَلٰى جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِى خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بٰطِلًا سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দাঁড়িয়ে, বসে ও কাত হয়ে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে। (বলে) ‘হে আমাদের রব, তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। তুমি পবিত্র মহান। সুতরাং তুমি আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর’।
(সূরা আল ইমরান-১৯১)
মহান আল্লাহর ঘোষণাঃ
فَاذْكُرُونِىٓ أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِى وَلَا تَكْفُرُونِ
সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হয়ে না। (সূরা আল বাক্বারাঃ ১৫২)
কলবের ইবাদাহ করতে অজু গসল, নির্দিষ্ট স্থান, নির্দিষ্ট সমিয় কিছুই লাগেনা। বিছানায় শুয়েও এই ইবাদাহ করা যায়!