সাম্প্রতিক শিরোনাম

এক অঙ্গীকারনামায় মদিনার মুসলিমরা ভাই ভাই হয়ে যায়

মহানবী (সা.)-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো তিনি আরব জাতিকে তলোয়ারের নিচ থেকে উদ্ধার করেছেন। যাদের মধ্যে আমৃত্যু শত্রুতা ছিল, তিনি তাদের ভাই ভাইয়ে পরিণত করেছেন। মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর আনসার ও মুহাজির সাহাবিদের মধ্যে এমন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলেন, বিশ্বের ইতিহাসে যার নজির কেউ দেখাতে পারবে না। এই বন্ধন ছিল আত্মীয়তার চেয়েও বেশি জীবন্ত। তিনি তাদের জন্য একটি অঙ্গীকারনামা প্রণয়ন করেন। এর মাধ্যমে জাহেলি যুগের সব দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও গোত্রীয় বিরোধের ভিত্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

এই লেখা রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে কোরাইশি ইয়াসরেবি, তাদের অধীন ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সম্পাদিত হচ্ছে :

১. এরা সবাই একটি ভিন্ন জাতি।

২. কোরাইশ মুহাজিররা তাদের আগের রীতি অনুযায়ী পরস্পর মুক্তিপণ আদায় করবে, মুমিনদের মধ্যে সুবিচারমূলকভাবে কয়েদিদের ফিরিয়ে দেবে। আনসারদের সব গোত্র অনুযায়ী ঈমানদারদের মধ্যে সুবিচারমূলকভাবে নিজ নিজ কয়েদিদের ফিদিয়া আদায় করবে।

৩. ঈমানদাররা নিজেদের মধ্যকার কাউকে মুক্তিপণের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী দান ও উপঢৌকন থেকে বঞ্চিত করবে না।

৪. যারা বাড়াবাড়ি করবে, সব সত্যনিষ্ঠ মুসলমান তাদের বিরোধিতা করবে। ঈমানদারদের মধ্যে যারা জুলুম-অত্যাচার, পাপ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা ফিতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে, সব মুমিন তাদের বিরোধিতা করবে।

৫. মুমিনরা সম্মিলিতভাবে অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে থাকবে। অন্যায়কারী কোনো মুমিনের সন্তান হলেও এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না।

৬. কোনো মুমিন অন্য মুমিনকে কোনো কাফিরের হত্যার অভিযোগে হত্যা করবে না।

৭. কোনো মুমিন কোনো কাফিরের সাহায্যের জন্য অন্য মুমিনের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হবে না।

৮. সবাই থাকবে আল্লাহর জিম্মায়। একজন সাধারণ মানুষের কৃত অঙ্গীকারও সব মানুষ পালনে বাধ্য থাকবে।

৯. যেসব ইহুদি আমাদের আদর্শে দীক্ষিত হবে, তাদের সাহায্য করা হবে। তারা অন্য মুসলমানের মতোই ব্যবহার পাবে। তাদের ওপর কোনো ধরনের জুলুম করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করা হবে না।

১০. মুসলমানদের সমঝোতা হবে অভিন্ন। কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে বাদ দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই-সংগ্রামে অন্যের সঙ্গে আপস করবে না। বরং সবাই সাম্য ও সুবিচারের ভিত্তিতে চুক্তি বা সমঝোতায় উপনীত হবে।

১১. আল্লাহর পথে লড়াই-সংগ্রামে প্রবাহিত রক্তের ক্ষেত্রে সব মুসলমান অভিন্ন বিবেচিত হবে।

১২. কোনো মুসলমান কাফির কোরাইশদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বা আশ্রয় দিতে পারবে না। কোনো কাফিরের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা অথবা আশ্রয় দেওয়ার জন্য কোনো মুমিনের কাছে অনুরোধ করতে পারবে না।

১৩. কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মুমিনকে হত্যা করে এবং তার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে এর পরিবর্তে তার কাছ থেকে কিসাস আদায় করা হবে, অর্থাৎ হত্যার পরিবর্তে তাকেও হত্যা করা হবে। তবে যদি নিহত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনকে হত্যাকারী অর্থদণ্ড দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারে, সে ক্ষেত্রে কিসাস প্রযোজ্য হবে না।

১৪. সব মুমিন কোনো বিষয়ে ঐকমত্যে উপনীত হলে অন্য কেউ তার বিরোধিতা করতে পারবে না।

১৫. কোনো হাঙ্গামা সৃষ্টিকারীকে সাহায্য করা মুমিনের জন্য বৈধ হবে না। অশান্তি সৃষ্টিকারী কোনো ব্যক্তিকে কেউ আশ্রয় দিতে পারবে না, যদি কেউ আশ্রয় দেয় বা সাহায্য করে, তাহলে কিয়ামতের দিন তার ওপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হবে। ইহলৌকিক জীবনে তার ফরজ ও নফল ইবাদত কবুল হবে না।

১৬. তোমাদের (মুসলমানদের) মধ্যে যেকোনো বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে সে বিষয় আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী মীমাংসা করবে।

সর্বশেষ

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...

২০২৩ এর সফল ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাইমন সাদিক

সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন। এর মাঝে একটি এজেন্সিও দিয়েছেন নাম...

ডিআর কঙ্গোতে শান্তিরক্ষী মিশনে  সেনাবাহিনীর ‘আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ মোতায়েন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মোতায়েন হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আহবানে সাড়া...

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...