মহামারির মধ্যেই বিধি মেনে এ বছর মুসলিম হজযাত্রীরা কাবা শরিফে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। অন্য বছরগুলোতে সারাবিশ্বের ২৫ লাখ মানুষ হজ পালনে গেলেও এ বছর তা হচ্ছে না।
সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বছর মাত্র এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার হজযাত্রীকে ধর্মীয় রীতি পালনের অনুমতি দিয়েছে। তার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ সৌদি আরবে অবস্থিত বিদেশি নাগরিকরা। আর এক তৃতীয়াংশ হজযাত্রী সৌদি আরবের নাগরিক।
সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৬৮ হাজার নয়শ ৩৪ জন এবং মারা গেছে দুই হাজার সাতশ ৬০ জন।
সৌদি সরকার এ বছর সকল হজযাত্রীদের ব্যয়, তাদের খাবার, হোটেল থাকার ব্যবস্থা, পরিবহন এবং স্বাস্থ্যসেবা দেবে। তবে এবার হজের খবর সম্প্রচারের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো কাবা শরিফে যাওয়ার অনুমতি পায়নি। এর আগে গত ৯০ বছরের মধ্যে হজ বাতিলের ঘটনা সৌদিতে ঘটেনি।
বছরই সারাবিশ্ব থেকে মুসলমানরা হজ পালনের জন্য যেতে পারছে না। যারা হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন, তাদের অবশ্যই মাস্ক পরে, কেবল জমজম কূপের পানি পান করা সাপেক্ষে কাবা শরিফে উপস্থিত হতে দেওয়া হচ্ছে।
সবাইকে জায়নামাজ নিয়ে যেতে হচ্ছে। এর আগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সারিবদ্ধভাবে নামাজ আদায় করা হলেও এ বছর একজন হজযাত্রী থেকে আরেকজনকে সবসময় দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে।