সাম্প্রতিক শিরোনাম

মহামারীর সময় ইসলামের নির্দেশনা

করোনার মতো ভয়াবহ রোগ পৃথিবীতে নতুন নয়; ইসলামের সূচনালগ্নেও এ ধরনের মহামারী বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (স) এ সময় মুসলিমদের করণীয় কী তা-ও বলে দিয়েছেন। সাহাবিরা সেই নির্দেশনা পালন করেছেন এবং সুফল পেয়েছেন।

তা ছাড়া এ রোগের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি সত্য, কিন্তু সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য কোনো রোগ নিরাময় অসাধ্য নয়। রোগব্যাধি তিনিই দেন এবং তিনিই নিরাময় দান করেন। ‘যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই আমাকে নিরাময় দান করেন’ (কোরআন- ৭৮:৮০)। তিনি রোগব্যাধি দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা, তোমাদের জান-মাল ও ফসলাদির ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে; ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও!’ (কোরআন- ২:১৫৫)।

প্রশ্ন ওঠে যে, আল্লাহ এমন মহামারীর পরীক্ষায় আমাদের কেন ফেললেন? প্রথমত, এভাবে কারা ইমানের ওপর অবিচল থাকে, তা তিনি দেখতে চান, বিশ্বাসীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চান। দ্বিতীয়ত, এসব বিপর্যয়ের কারণ আদতে মানুষ নিজেই। মহান রব বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের জন্য জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদের কোনো কোনো কর্মের শাস্তি আস্বাদন করানো হয়, যেন তারা সৎপথে ফিরে আসে।’ (কোরআন ৩০:৪১)।

অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা। ইমানের ওপর অবিচল থাকা। দুই. আক্রান্ত অঞ্চলে যাতায়াত না করা। মহানবী (স) বলেছেন, কোনো অঞ্চলে প্লেগের (বা অন্য কোনো মহামারীর) সংবাদ শুনলে সেখানে প্রবেশ করো না। আর তা তোমাদের অবস্থানে ছড়ালে সেখান থেকে বেরিয়ে যেও না।’ (বোখারি- ৫২০৪)।

তিন. সংক্রমণের ভয় হলে জনসমাগম এড়িয়ে চলা। নবীজি (স.) এরশাদ করেছেন- ‘কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাকো, যেভাবে বাঘ থেকে দূরে থাকো।’ (বোখারি- ৫৭০৭)। অন্যদিকে ‘ইসলামে সংক্রমণ বলতে কিছু নেই’ বলে যে উক্তি রয়েছে, তার অর্থ- গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে সৃষ্ট সংক্রমণ ও স্বয়ংসক্ষম সংক্রমণ বলে কিছু নেই। অর্থাৎ গ্রহ-নক্ষত্র বা রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই। ‘নবীজি সফরে বৃষ্টি বা শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বলতেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বলতেন যে, ‘তোমরা আবাসস্থলেই নামাজ আদায় করে নাও!’ (বোখারি- ৫৭২৯)।

চার. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। মহানবী স. বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক’ (সহি মুসলিম- ২২৩)। ইউনিসেফ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

পাঁচ. রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়া পড়া। বিশুদ্ধ হাদিসে এ সময় পাঠ্য একটি দোয়া রয়েছে। তা হলো- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়ামিন সায়্যিল আসক্বাম।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আমি শ্বেত রোগ, উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে আপনার আশ্রয় চাই।’ (আবু দাউদ- ১৫৪৯)।

সব শেষে, এ বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রতিষেধক আবিষ্কার থেকে শুরু করে মহামারী মোকাবিলায় সবাইকে সর্বাত্মক উদ্যোগী হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- ‘আমি কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করি না, যতক্ষণ না তারা নিজে নিজের অবস্থা পরিবর্তন করে।’ (কোরআন- ১৩ :১১)। দয়াময় রব সবাইকে এ মহামারী থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...