লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনি তুলে চলতি বছরের করোনাকালীন পবিত্র হজ-এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২৯ জুলাই থেকে এবং ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এর পরদিন ৩১ জুলাই (শুক্রবার) ঈদ-উল-আজহা পালন করবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো। সোমবার (২০ জুলাই) এ ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার।
জানা গেছে, এ বছর হজ পালন করতে পারবেন মাত্র ১০ হাজার মানুষ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ বছর শুধুমাত্র সৌদি আরবে বসবাসরতদেরই হজ পালনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। হজের আগে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন এই ১০ হাজার হজ পালনকারী। আর হজ পালন শেষে আরও এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের।
সে হিসেবে, গত ১৯ জুলাই সৌদিতে বসবাসকারী ১৬০টি দেশের ১০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার মধ্যেদিয়ে মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ফরজ ও ইসলাম ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মীয় জামায়েত পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ৬ জুলাই হজের সময় হাজীদের অবশ্যই পালনীয় নানা স্বাস্থ্যবিধির ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, জামাতে নামাজ পড়ার সময় মাস্ক পরতে হবে এবং প্রত্যেকের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে জরিমানা করা হবে, এমনকি কারাদণ্ডও হতে পারে।
এদিকে, সৌদি আরবের আকাশে ২০ জুলাই কোথাও জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ৩১ জুলাই শুক্রবার ঈদ-উল আজহা পালন করবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো। সৌদির সর্বোচ্চ বিচারক আদালত সুপ্রিম কোর্ট চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ঘোষণা দেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সৌদি আরবে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪২৯ জন। আর মারা গেছেন ৩৭ জন। তাতে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৯ জন। এবং দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৩ জনে।
অন্যদিকে, একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৫২৪ জন, যাতে দেশটিতে সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ২৫৯ জন।
২০১৯ সালে ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪০৬ জন পবিত্র হজ্ব পালন করেন। তার মধ্যে সৌদি আরবের স্থানীয় নাগরিক ছিলেন ২ লাখ ১১ হাজার ৩ জন। আর সৌদিতে কর্মরত বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৬ জন।