সাম্প্রতিক শিরোনাম

দেশের স্থলভাগের সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ সমুদ্রের তলদেশে

অনেকেই ব্লু ইকোনমি বলতে শুধু মাত্র সাগরের মৎস সম্পদ এবং গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে বুঝে থাকি। তবে আমাদের বঙ্গোপসাগরের ব্লু ইকোনমি আরো অনেক বেশী বিস্তৃত। জেনে অবাক হবেন, দেশের স্হলভূমিতে বর্তমানে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, সে তুলনায় আমাদের জলসীমানায় সমুদ্রের নিচে রয়েছে প্রায় ৮১% প্রাকৃতিক সম্পদ। যা আবার শুধু মাছ বা তেল গ্যাস নই। যদি আজ থেকেই নিয়ম মাফিক আমরা এই সম্পদ আহরণ শুরু করি তাহলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত একটানা প্রতিবছর আড়াই লক্ষ কোটি ডলারের সমপরিমাণ সম্পদ আহরণ সম্ভব।

ভারত মহাসাগরের বদ্বীপে বাংলাদেশের অবস্হান হওয়ায় এই অঞলের গুরুত্ব আমাদের আগেই আমাদের প্রতিবেশী দু দেশ বুঝতে পারে। বাংলাদেশ সেই ভুল বুঝতে পেরে দ্রুততর সময়ে কোন রকম যুদ্ধ ছাড়াই দুদেশের সাথেই অমীমাংসিত সমুদ্র সীমার বিরোধ মিটিয়ে ফেলে জাতিসংঘের মাধ্যমে।এতে অর্জিত বিশাল সমুদ্রসীমার উপর আমাদের একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।সমুদ্র জয়ের ফলে বঙ্গোপসাগরে ভারতের হাতে থাকা ১০টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে আটটি এবং মিয়ানমারের অধীনে থাকা ১৩টির মালিকানা বাংলাদেশ পেয়েছে। এসব ব্লক থেকে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব।

সমুদ্রতলের সম্পদের মধ্যে রয়েছেঃ-
১)৪৭৫ প্রজাতির মাছ।
২)৩৬ প্রজাতির চিংড়ি।
৩) ৩ প্রজাতির লবস্টার।
৪)২০ প্রজাতির কাঁকড়া।
৫)৩৩৬ প্রজাতির শামুক।
৬) নূন্যতম ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।(ধারণা করা হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের খনি রয়েছে আমাদের সমুদ্র সীমানায়)।
৭) সাগরের তলদেশের ১৩টি জায়গায় রয়েছে স্বর্ণের চেয়েও মূল্যবান বালি। রয়েছে ১৭ ধরণের খনিজ বালি।

মূল্যবান খনিজ বালির মধ্যে রয়েছে নূন্যতম ১.২৪ মিলিয়ন টনের ১২ হাজার কোটি টাকার খনিজ সম্পদ। নূন্যতম ধরলেও এসব উত্তোলন করা গেলে বাংলাদেশকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবেনা।এখানে মোট ১৭ প্রকার খনিজ বালুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো মধ্যে ইলমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাশনেটাইট, লিউকোক্সিন, কিয়ানাইট, মোনাজাইট দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষমতা রাখতে পারে। এছাড়াও রয়েছে স্বর্ণের চেয়ে মূল্যবান ইউরেনিয়াম-থোরিয়াম রয়েছে যাতে মিশে আছে ইলমেনাইট, গানেট, সেলিমেনাইট, জিরকন, রুনটাইল ও ম্যাগনেটাইট।

দূর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাধীনতার এত বছরেও সরকারিভাবে এসব সম্পদ আহরণে দৃশ্যমান কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বিগত কয়েকবছর ধরে ব্লু ইকোনমি নিয়ে খুবই স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু হলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়। অন্যদিকে এই সব সম্পদ আরহরণে আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা কতটুকু সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই যত দ্রুত সম্ভব ব্লু ইকোনমির গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হব ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।

সূত্রঃ ডিফেন্স রিসার্স ফোরাম।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...