স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেককে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মালেক গ্রেফতার হওয়ার পর বাড়ির রাজকীয় ডিজাইনের দরজার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ফেসবুকে অনেকেই লিখছেন, আমাকে স্বাস্থ্যের ড্রাইভার বানিয়ে দাও। আমি ড্রাইভার হতে চাই।
একজন ড্রাইভারের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে ডিজি, সচিব, চেয়ারম্যানদের অবস্থা কি হবে?
অষ্টম শ্রেণি পাস আবদুল মালেক অধিদফতরের চাকরির পাশাপাশি নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাতেন। অবৈধ অস্ত্র ও জালনোটের কারবার ছাড়াও চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
তুরাগ থানার দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাত তলা বিলাসবহুল ভবন, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন রয়েছে তার। এছাড়া দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলেছেন মালেক।
ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে তার। ফেসবুকে নেটিজেনরা এমন দুর্নীতিবাজদেদের সম্পদ ফিরে এনে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুধু গাড়িচালক মালেক নয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমন ৪৫ কোটিপতি মালেকের নাম রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তালিকায়। এ তালিকায় নাম রয়েছে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীও।
প্রত্যেকের নামেই রয়েছে অস্বাভাবিক অর্থ, বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার ও ক্ষমতার অপব্যবহার। রয়েছে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।