গবাদিপশুর ‘লাম্পি স্কিন’ রোগের বিস্তার রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনাপত্র জারি করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনাপত্রে আক্রান্ত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অথবা একজন ভেটেরিনারি সার্জন অথবা একজন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অথবা ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট অথবা ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (এআই)-এর সমন্বয়ে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রতিটি গবাদিপশু সরেজমিনে পরিদর্শন করে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য মেডিক্যাল টিমকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি এ চিকিৎসা কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে আক্রান্ত জেলার পাশ্ববর্তী জেলা বা উপজেলা থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মেডিক্যালে টিমে দায়িত্ব প্রদানেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলার সদর, বিরল, খানসামা ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বিবেচনায় নিয়ে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উল্লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।