সাম্প্রতিক শিরোনাম

৪ সেকেন্ডে শেষ ট্রেনের ১১০০ টিকিট

মাত্র ১৭ যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে সারাদেশে, তাও আবার অর্ধেক আসন খালি রেখে। সপ্তাহ দুই আগেও যাত্রী সঙ্কট থাকলেও এখন ঈদের আগে ব্যাপক চাপ রেলের অনলাইনে। অনলাইনে ছাড়ার মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ টিকিট।

সেকেন্ডের ব্যবধানে টিকিট পাননি বহুযাত্রী। তাদের অনেকেই রেল সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ক্ষোভ জানিয়েছেন। অনেকের অভিযোগ ট্রেনের টিকিটে কারসাজি চলছে। শনিবার সকালে এই প্রতিবেদক দেখেন, ছয়টা ২ মিনিটে ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটের দু’টি ট্রেনের সবক’টি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সকাল সোয়া ছয়টায় সিলেটমুখী ছাড়া আর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো ট্রেনেই আসন ছিল না। যেসব টিকিট ছিল, তার সবই ছিল বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকামুখী ট্রেনে।

শনিবার দেওয়া হয়েছে বুধবারের টিকিট। ঠিক সকাল ছয়টায় অনলাইনে ছাড়ার প্রথম চার সেকেন্ডে এক হাজার ৯৫টি টিকিট বিক্রি হয়।

রেল ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের দাবি, অনিয়মের কোনো সুযোগই নেই। ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রথম মিনিটেই অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যারা ন্যানো সেকেন্ড পিছিয়ে পড়েন, তারা টিকিট পান না।

শনিবারই একটি অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। সাধারণ যাত্রীরা মাত্র এক সেকেন্ড দেরির কারণে টিকিট না পেলেও একটি মোবাইল নম্বর থেকে এক মিনিটের ব্যবধানে দুইবারে চারটি করে আটটি টিকিট কাটা হয়। সন্দেহ হওয়ায় যোগাযোগের চেষ্টা করে ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পেয়েছে রেল। নিবন্ধনের সময় ওই নম্বরের বিপরীতে দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বরটিও ভুয়া। রেলের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অনেক যাত্রীর টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে মাহবুব কবির বলেছেন, হাজার হাজার ইউজার কাঁটায় কাঁটায় ছয়টায় রেলের অনলাইনে প্রবেশ করেন। যারা তাদের তুলনায় ন্যানো সেকেন্ড পরে প্রবেশ করেন, তারা টিকিট পান না। যা খুব স্বাভাবিক।

কাঁটায় কাঁটায় সকাল ছয়টায় টিকিট দেওয়া শুরু হয়। প্রথম সেকেন্ডে টিকিট বিক্রি হয় ৫০১টি। দ্বিতীয় সেকেন্ডে টিকিট যায় ২২২টি। তৃতীয় ও চতুর্থ সেকেন্ডে ৩৭২টি টিকিট কাটা হয় রেলের অনলাইন থেকে। সকাল আটটা ২৮ মিনিট পর্যন্ত চার হাজার ২২৬টি টিকিট বিক্রি হয়। ১০টা ৫২ মিনিটে পাঁচ হাজার ১৪৪ অর্থাৎ সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়।

৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে চলছে যাত্রীবাহী ট্রেন। দুই দফায় ১৯টি ট্রেন চালু করা হয়। তবে পরে দু’টি ট্রেন বন্ধ করা হয় যাত্রী সঙ্কটে। কিন্তু ঈদের আগে এসে টিকিটের জন্য অনলাইনে চলছে লড়াই। যাত্রী বাড়লেও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ঈদে ট্রেন বাড়ানো হবে না। সীমিত পরিসরেই রেল সেবা চলবে।

করোনার বিস্তার রোধে ঈদে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। ঈদযাত্রাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ কারণেই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রেল ট্রেন সংখ্যা বাড়াচ্ছে না। ঈদুল ফিতরের সময় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...