কক্সবাজার বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন নিয়ে বরাবরই উচ্চাভিলাষী।তারই ধারাবাহিতায় সাগর থেকে জমি উদ্ধার করে কক্সবাজার বিমানবন্দরের এক্সপ্যানশন এর পরিকল্পনা নেয়া হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ২০১৮ সালে পাশ হওয়া এ প্রজেক্টের ডেমো ডেফ্রেস পেজ এবং গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে।
আশার কথা হচ্ছে এ প্রজেক্টের ভার পেয়েছে “চায়না হারবার কোম্পানি লিমিটেড” এ প্রজেক্টে খুশী এবং দু:খী দুটিই হবার কারন রয়েছে।যার একটি হলো দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান এই প্রজেক্টের দরপত্রে অংশগ্রহণ করলেও ক্যাবের ভাষায় এ প্রজেক্টে China Harbour কোম্পানি ব্যতিত অন্য বাকি কোম্পানিগুলোর দরপত্রে গন্ডগোল ছিল।কিন্তু একটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোকপাত করতে চাই,চায়না হারবার কোম্পানি সেই প্রতিষ্ঠান যারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার জন্য দরপত্র জিতে নিতে সরকারি একজন কর্মচারীকে ঘুষ দিয়েছিলেন।
সৎ বিধায় সে কর্মচারী তা মন্ত্রণালয়কে অভিহিত করেন যার দরুন বাংলাদেশ সরকার এই চীনা কোম্পানীকে ব্লাকলিস্টেড করে।
কিন্তু এখন একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে, এই ব্লাকলিস্টেড কোম্পানি এই প্রজেক্টের দরপত্রে অংশগ্রহণের সক্ষমতা রাখে কিনা?আর অংশগ্রহণ করে সিলেক্টেড হতে পারে কিনা? যদি সিলেক্টেড হয় তাহলে কি তারা আর ব্লাকলিস্টেড নয়?এরই মধ্যে ক্যাব থেকে বলা হচ্ছে ১০০% স্বচ্ছ এ প্রক্রিয়ায় চীনা এ প্রতিষ্ঠান ১০০ কোটি টাকার বেশী সাশ্রয় করবে!
চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের ইকোনমিক অগ্রযাত্রার সবক্ষেত্রেই জড়িত। তা অস্বীকারের উপায় নেই।একই সাথে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নিজেও ব্যবহার করবে। সে হিসেবে এ এয়ারপোর্টের সাথে নি:সন্দেহে দেশের স্বার্থ জড়িত।দেশের অপার সম্ভাবনাময় এ সৈকতকে ঘিরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে..অথচ এই এয়ারপোর্ট এক্সপ্যানশনের মুল উদ্দেশ্য ট্যুরিজম এবং ইন্টারন্যাশনাল হাব হিসেবে এই অঞ্চলকে গড়ে তোলা