দেশে করোনার ভয়াবহতা বাড়বে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে। কার্যকর পদক্ষেপ এবং মানুষ নিয়ম-নীতি না মানলে, আক্রান্ত হতে পারেন ৫-২০ লাখ লোক। এমন শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
স্বাস্থ্য সচিব জানান, সংক্রমণের তৃতীয় ধাপে রয়েছে দেশ। যা এ মাসেই চতুর্থ ধাপে চলে যেতে পারে। বৈশ্বিক এ মহামারি মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে, সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আব্দুল্লাহর মতে, এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সতর্কতা।
চীনের উহান থেকে ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসের কাছে আজ বড্ড অসহায় গোটা বিশ্ব। প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে হাজারো মানুষের।
এর ছোবলে দিশেহারা ইউরোপ-আমেরিকাবাসী। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সপ্তাখানেক বাদেই ভয়বহতার রূপ দেখবে বাংলাদেশও।
প্রিভেন্টিভ মেডিসিন স্পেশালিস্ট লেলিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণের ভয়াবহতার সময় আমরা মনে করতে পারি। যদি কোন চিকিৎসা সেবা বা সতর্কতা না নেওয়া হয় তবে রোগতত্ত্ব অনুযায়ী এরা কিছু সংখ্যায় ছড়াতে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এটা ৫-২০ লক্ষ হতে পারে।
বাংলাদেশের সাস্থ্য সচীব আসাদুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে সেনাবাহিনী পর্যন্ত সকলে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে নিয়োজিত আছেন।
আমরা আশা করবো সাধারণ মানুষও আমাদের সাহায্য করবেন।
গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে জনসচেতনতার কথা বলা হলেও; এখনও নির্বিকার দেশের অনেক মানুষ। তাই ছুটি পেলে দল বেঁধে কাধে-কাধ মিলিয়ে গ্রামের পথ ধরেন তারা। কাজের জন্য ফেরেনও একইভাবে। বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও; থোরাই তোয়াক্কা তাদের।
প্রিভেন্টিভ মেডিসিন স্পেশালিস্ট লেলিন চৌধুরী বলেন, ইতালী স্পেনের থেকে আমাদের আবহাওয়া ভিন্ন।
ইতিমধ্যে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন বাংলাদেশের মত পরিবেশে এসে করোনা ভাইরাস তাঁর জ্বীঙ্গত পরিবর্তনও করতে পারে। যদি তেমন হয়ে থাকে তবে আক্রমণের তীব্রতা কম হবার প্রবণতা থাকতে পারে।
এককভাবে শুধু সরকার, চিকিৎসক সমাজ বা জনগণ নয়; এই ভয়বাহতা মোকাবিলায় দরকার, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা।