ঢাকার চারপাশের নদীর জায়গা দখল করে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র গড়ে ওঠা মসজিদ, মাদ্রাসা, শ্মশানঘাটসহ সব ধরনের ধর্মীয় স্থাপনা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করে নদীর সীমানার বাইরে নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার। বুধবার (১৯ ফেব্রয়ারি) সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত এক সভাশেষে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, কোনও মসজিদ বা ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙা হবে না, আলোচনার মাধ্যমে স্থানান্তর হবে।
সভায় জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদী দখল করে ৭৭টি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার, ৫টি কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা, একটি ঈদগাহ, ১৪টি স্কুল ও কলেজ, ১৩টি স্নানঘাট, মন্দির ও শ্মশানঘাট এবং ৩টি অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে।
সভায় নৌ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, বিআইডব্লিউটিএ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক বছর আগে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথাবার্তা বলে মতামত জানানোর জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। উনি বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সভাটা করে উঠতে পারেননি। আমরা গত ১০ ডিসেম্বর প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির, শ্মশান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসেছি।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশে নদী দখল করে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র মসজিদ, মাদ্রাসা, শ্মশানঘাটসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে স্থানান্তর করা হবে। এগুলো সরানোর বিষয়ে আমরা এখনও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করিনি, তবে আমরা আলোচনা করছি।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে কতদিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্ভে করে প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে, এজন্য ডিপিপি প্রণয়ন করতে হবে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কোনও মসজিদ ভাঙা হবে না, আমার সমন্বয় করবো।’