সাম্প্রতিক শিরোনাম

ক্ষোভ থেকেই ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা করে রবিউল

ইউএন ওয়াহিদা খানমকে বাসায় ঢুকে হত্যা চেষ্টা মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে মামলার অন্যতম আসামি ইউএনওর বাড়ির সাময়িক বরখাস্ত মালি রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার কড়া নিরাপত্তা মধ্যে রবিউলকে দিনাজপুর আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে রবিউলকে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানিতে আদালতের কাছে হামলার দায় স্বীকার করেন। দিনাজপুর কোর্ট পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন আদালতে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন রবিউল। জবানবন্দির পর রবিউলকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

জবানবন্দিতে রবিউল জানান, ক্ষোভ থেকে তিনি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ব্যাগ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে রবিউলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ কারণে রবিউল ক্ষুব্ধ হন। ১ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। এতেই রবিউল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে হামলা করেন।

রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। আক্রোশ থেকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। তার দেওয়া তথ্য মতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

একই সঙ্গে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির সহায়তার রবিউল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা মই বেয়ে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসায় ঢুকে এবং ভেন্টিলেটর ভেঙে ইউএনওর রুমে প্রবেশ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত শুরু করে।

একসময় ইউএনও’র চিৎকার শুনে তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা পাশের রুম থেকে ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...