ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় গরুর খামারের ময়লা পানির ড্রেন পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ১ জন নিহত ও উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষীপুর ও ফাজিলপুর গ্রামবাসীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সহিদ মাতুব্বর (৪৫)।
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্ব থেকেই লক্ষীপুরের শাহজাহান মুন্সীর সাথে ফাজিলপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বর ও হবি মাতুব্বরের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিলো। মঙ্গলবার সকালে লক্ষীপুর গ্রামের মিলন সর্দারের গরুর খামারের ময়লা পানি ড্রেনে যাওয়াকে কেন্দ্র করে লোকমানের স্ত্রী ও রহিমের স্ত্রীর সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যয়ে ঝগড়া হয়। পারিবারিক এ ঝগড়া পরবর্তীতে এলাকার দুটি দলে বিভক্ত হয়ে শাহজাহান মুন্সীর লোকজনের সাথে জাহাঙ্গীর ও হবি মাতুব্বরের লোকজন এগিয়ে এলে উভয় পক্ষ এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজী রবিউল ইসলাম ও ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুর রহমান পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ওসি মো. শফিকুর রহমান জানান, লক্ষীপুরের শাহজাহান মুন্সীর সাথে পাশ্ববর্তী ফাজিলপুরের জাহাঙ্গীর ও হবি মাতুব্বরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ইতোপূর্বে আমি উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে মীমাংসা করে দেই। কিন্ত তারপরও আজ একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে একজন নিহত হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজী রবিউল ইসলাম সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষে সংশ্লিষ্ট গ্রাম দু’টির বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক অভিযান চলছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।