সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও আরেকটি মামলা হয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনার পর শুক্রবার রাত ২টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে সাইফুরের রুম থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রচুর পরিমাণে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
করোনার কারণে কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও সাইফুর রহমানসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন ক্যাডার ছাত্রাবাসে বসবাস করতো।
ছাত্রাবাসে অবস্থান করে কলেজ ক্যাম্পাস, টিলাগড় ও বালুচর এলাকায় তারা নিয়মিত ছিনতাই ও অপহরণ করতো। রাতে ছাত্রাবাসে জুয়া ও মাদকের আসরও বসাতো বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সাথে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসে।
এসময় ছাত্রলীগকর্মী এম. সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা।
সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা।
এসময় ছাত্রলীগকর্মীরা ওই তরুণীর স্বামীর প্রাইভেট কারও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের প্রাইভেট কার উদ্ধার করে।
পরে ধর্ষনের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
রাতভর অভিযান চালালেও ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার আসামি সাইফুর ও তার সহেযাগী কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।