নড়াইল জেলা এবং গোপালগঞ্জ জেলাকে পৃথক করে রেখেছে প্রমত্তা মধুমতি নদী। নদীর আগের স্রোত না থাকলেও এখনো ঢেউয়ের খেলায় উন্মত্ত থাকে। কালনা সেতুর গুরুত্ব অনেক বেশি। বেনাপোল বা যশোর থেকে ঢাকা আসবার পথ এই একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘ এবং সময় সাপেক্ষ ছিল। মাগুরা হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট হল এপথে ঢাকা আসার রাস্তা। কিন্তু এটি দীর্ঘ এবং সময় সাপেক্ষ। এছাড়া নড়াইল জেলার উন্নতি একপ্রকার থমকে ছিল কালনা ঘাটে একটি সেতুর অভাবে।
যুগ যুগ ধরে এই অঞ্চলের মানুষ একটি সেতুর অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও কাজ শুরু হতে হতে ২০১৮ সাল পার হয়ে যায়।
জাপানের সহায়তায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট সেতু নির্মাণ হচ্ছে কালনা ফেরিঘাটে। এটি হলে ভাঙ্গা থেকে ভাটিয়াপাড়া, কালনা, নড়াইল হয়ে সরাসরি যশোর এবং বেনাপোল বন্দরের সাথে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। কমবে দুরত্ব এবং সময়। প্রায় বিচ্ছিন্ন জেলা নড়াইল প্রধান রুট গুলির সাথে যুক্ত হবে।