বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা-শিলিগুড়ি রেলযোগাযোগও শুরুর অপেক্ষায়। ২০২১ সাল নাগাদ রেললাইনের কাজ শেষ হবে। এটি চালু হলে আপাতত মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। ভবিষ্যতে এ পথে যাত্রী পরিষেবাও চালু করা হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথগুলো ফের চালু হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জুন মাসেই ঢাকা-শিলিগুড়ি সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।
এই রেলপথটি চালু হলে দুদেশের বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে এমন আশা দুদেশেরই।
এ ছাড়া ভারতের প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলা এবং বাংলাদেশের আখাউড়া রেলপথের কাজও সম্পন্ন হবে আগামী বছরেই। আশা করা হচ্ছে, ওই বছর জুন মাস নাগাদ আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ চালু হয়ে যাবে। ২০১৭ এর অক্টোবরে এই রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বলা হয়েছিল ২০১৯ সালেই চালু হয়ে যাবে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ। কিন্তু নানা জটিলতায় তা পিছিয়ে গিয়েছে একবছর।
ভারতীয় মুদ্রায় ৯৮০ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের জন্য প্রায় ৪৭৮ কোটি টাকা এবং ভারতের ৫ কিলোমিটার অংশের জন্য ৫৮০ কোটি টাকা। ত্রিপুরা রাজ্যের নিশ্চিন্তপুর হবে দুই দেশের সীমান্ত স্টেশন। সীমান্ত থেকে আগরতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। ত্রিপুরার অংশে এই রেলপথ তৈরি করছে ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নির্মাণ সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (ইরকন)।
ভারতের পেট্রোপোল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশের ভেতরে পার্বতীপুর, দর্শনা, সৈয়দপুর, নীলফামারি, তোরণবাড়ি, ডোমার, চিলাহাটি পেরিয়ে ফের তা গিয়ে উঠবে ভারতের হলদিবাড়িতে। সেখান থেকে যাবে শিলিগুড়ি।