বিভিন্ন কারখানা চালু হওয়ার খবরের মধ্য শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকসহ হাজার হাজার মানুষের ঢাকামুখী ঢল নামার পর ব্যাপক সমালোনার রাতে তিনি এ নির্দেশনা দেন। নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবার সঙ্গে নিয়োজিতরা ছাড়া রাজধানীকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আগমন-বহির্গমন বন্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) জাবেদ পাটোয়ারি।
কর্মজীবী মানুষের বিশাল একটি অংশ পোশাক শিল্পে নিয়োজিত।ঢাকা শহর ও সাভারের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়া করন এলাকায় প্রায় ৭ লক্ষাধিক পোশাক শ্রমিকের বসবাস।যেখানে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে বলা হয়েছিলো,বন্ধ করা হয়েছিলো সকল পোশাক কারখানা ও সাধারন যাত্রীবাহি যান চলাচল।
কিন্তু সে কথাকে অমান্য করে সরকারের বীধি-নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে বিকল্প যাতায়াত ব্যাবস্থার মাধ্যমে নিজ নিজ গ্রামের বাড়ী পাড়ি জমান সাধারন ছুটি পাওয়া ৯৫% শ্রমিক।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারি মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রান জানান , নভেল করোনাভাইরাসের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে আসা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ যেন ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আইজিপির নির্দেশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। করেনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “সকল ধরণের মুভমেন্ট বন্ধ আছে। কেউ ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না, ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না।
তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বিষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। রোববার থেকে গার্মেন্টস খোলার খবরে শনিবার দিনভর আশেপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার শ্রমিককে ঢাকার পথে দেখা যায়। করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনার মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শত শত নারী-পুরুষের পায়ে হাঁটা মিছিল ও ফেরীতে শত শত মানুষের গাদাগাদি করে পদ্মা পার হওয়ার ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়।