দুর্নীতির দায়ে এমপি পদ হারাচ্ছেন সরকারদলীয় সাংসদ হাজী সেলিম

হাইকোর্টের রায়ে হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়। তবে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় দণ্ডিত হওয়ায় হাজী সেলিম স্বপদে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সাংবিধানিক প্রশ্ন।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের পর হাইকোর্টে দুই দফা শুনানি হয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে ওই আপিল (হাজী সেলিমের) পুনরায় শুনানি করতে বলা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ওই আপিলের শুনানি হয়নি।

সম্প্রতি আপিলটি শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে থাকা মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন। এরপর কয়েক দিবস শুনানি শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিলটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।