চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নীলফামারী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মসজিদ আর ঘরের জানালা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে এ আজান দেন এলাকাবাসী। নগর ও গ্রামের অনেক জায়গাতেই আজান দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে এ আজান শুনা যায়।
জানা গেছে, কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের আহ্বানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একত্রিত হয়ে এই সম্মিলিত আজানের আয়োজন করা হয়। যদিও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না ইসলামিক ফাউন্ডেশনের।
চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা, পশ্চিম মাদারবাড়ি, মোগলটুলী, কাটা বটগাছ এলাকা, আগ্রাবাদ, হাজীপাড়া, চৌহমুনী ও কর্ণফুলীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতে আজান শোনা যায় বলে অনেকে জানিয়েছেন। ।
অন্যদিকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরেও ব্যাপকভাবে একই সময়ে আযান দেয়া হয়৷ এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে পোস্ট দেন।
অপরদিকে হবিগঞ্জে শহরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শ্যামলী, গোসাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে রাত ১১টার দিকে আজান দেওয়া হয়েছে। আজানের ধ্বনি শুনে তারা চমকে ওঠেন।
আলেমদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রদ্দুল মুখতার ফতোয়ায়ে শামী জা আল হক শরহে আবু দাউদ শরীফে উল্লেখ আছে- দশ জায়গায় আজান দেওয়া সুন্নাতঃ
১, সন্তান জন্ম নিলে
২, কোন মহামারী দেখা দিলে
৩, আগুন লাগলে
৪, জ্বিন দূরীভূত করা
৫, মানসিক রোগী
৬, কেউ রাস্তা হারিয়ে ফেললে।
৭,কোন হিংস্র জানোয়ার এর আক্রমণ রোধ করার জন্য।
৮, কেউ অতিরিক্ত রাগান্বিত হলে
৯, কোন এলাকায় মহা দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে
১০, ইন্তেকালের পর কবরের পাশে।
[বিঃদ্রঃ আজানে ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ্’ ও ‘ হাইয়্যা আলাল ফালাহ্’ ব্যাতিত বাকি শব্দগুলো উচ্চারিত হবে]
ওলামায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত একটা নির্দিষ্ট সময়(আজকে রাত ১০টা) নির্ধারন করেছেন। তাছাড়া- আজকে জুম’আ রাত্র দোয়া কবুলের রাত। আজকে শাবান মাসের ১ম রজনী।