পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল সাম্প্রতিক হাতে নেয়া মেগা প্রকল্পের ভেতর দেশের প্রথম বড় মেগা প্রকল্প যেটি শেষ হয়েছে।
এর পর আগামীকাল উদ্বোধন করা হবে দেশের প্রথম ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে।
বাংলাদেশে এত চমৎকার সড়ক আর একটিও নাই। প্রতিটা বাজারে ওভারপাস, ৪ টা বড় সেতু যার মধ্যে ধলেশ্বরী নদীর উপর চার লেনের দুটি বড় সেতু, চারটি বিশাল ফ্লাইওভার, রেলওয়ে ওভারপাস থেকে শুরু করে ১৯ টি আন্ডারপাস ও দেশের প্রথম ক্লোভারলিফ রয়েছে এই প্রকল্পে।
ঢাকা থেকে মাওয়া ঘাটে পৌছানো যাবে মাত্র ২৭ মিনিটে যা আগে দেড় থেকে দুই ঘন্টা লাগত।
যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার ছয় লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কটি হবে চার । এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে দুই লেন করে থাকবে পৃথক সড়ক। যাতে ধীরগতির যানবাহন চলাচল করতে পারে।
তবে এখানেও একটি ডাউনসাইড রয়েছে। বুড়িগঙ্গার উপর প্রথম চীন মৈত্রি সেতু কিন্তু পুরানো এবং চার লেনের। বুড়িগঙ্গার উপর আরেকটি চার লেনের সেতু করা গেলে যানজট ছাড়াই পূর্ন সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু সেটা হয়ত হচ্ছে না। বর্তমান সেতুকেই প্রস্থে একটু বাড়ানো হবে বলে শুনেছি। বুড়িগঙ্গার উপর বাবুবাজার সেতুও চার লেনের। সেতু ঘেষেই যেভাবে বাড়িঘর, মার্কেট করা হয়েছে তাতে নতুন করে সেতু করার স্থান নেই। করতে গেলেও প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে আর এই জমির খরচ ও অনেক বেশি।
তবে কোন ভাবেই এই সেতু গুলিকে চার লেনে রেখে ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে করে পূর্ন সুবিধার আশা করা যায় না। হয়ত ভবিষ্যতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা ভেবে দেখবেন।
আমার মনে হয় এখন থেকে আর কোন সড়ক চার লেনে উন্নিত না করে এক্সপ্রেসওয়ে ধাচে গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে ঢাকা সিলেট, ঢাকা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এভাবেই গড়ে তুলতে হবে।
বড় বড় যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল সেগুলা আগামী বছর গুলিতে একেক করে সার্ভিসে আসবে। আর এতে ইকোনমি ভাল একটা বুস্ট পাবে সেটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
সাম্প্রতিক/এফটি