নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ বাজারে নোমানের ব্যবসা অভিযানে টিসিবি পণ্য উদ্ধার। আটক ৫

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃনবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্থানীয় লালাপুর গ্রামের হাজী হেলিম উদ্দিনের পুত্র যুবলীগ নেতা নোমান হোসেন অবৈধভাবে টিসিবি সোয়াবিং তৈলসহ পণ্য সামগ্রী পাইকারী ও খুচরা কালো বাজারে বিক্রি করার অভিযোগে নবীগঞ্জ উপজেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ৫ঘন্টা ব্যাপী যৌথভাবে কয়েকটি গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান টিসিবি সোয়াবিন তৈল চিনিসহ পণ্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু টিসিবি পণ্যই নয়। তার দোকান ঘর থেকে অবৈধ ভারতীয় সিগারেট ও উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অংশ নেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান,জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ইয়াসির আরাফাত,জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার চৌধুরীসহ দুই থানার একদল পুলিশ।
এ সময় প্রায় শহশ্রাধীক ভ’ক্তভোগী জনসাধারন প্রশাসনের উপস্থিতিতে ইনাতগঞ্জ বাজারে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী নোমান হোসেনকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলটি ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলার আলীগঞ্জ বাজার গুদাম থেকে জবন্দকৃত পণ্য সামগ্রী হচ্ছে টিসিবি ৭৩ বস্তা চিনি,১৯৬ পিস সোয়াবিং তৈল, চিনি পরিবর্তন করা ৬বস্তা, টিসিবি চিনির খালি বস্তা ৯টি। ইনাতগঞ্জ ব্যবসা প্রতিষ্টান ও গুদাম থেকে পাওয়া টিসিবিন ৫লিটার ছোয়াবিং তৈল,টিসিবি,লেভেল ছাড়া চিনির খালি কার্টুন ৩টি, ৫ লিটার ছোয়াবিং তেল।
এ সময় নোমান হোসেন এর ভাইসহ ৫জনকে আটক কওে প্রশাসন। পরে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ আটককৃতদের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ।অভিযান এর খবর পেয়ে নোমান হোসেন পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলো নোমানের ছোট ভাই আমান হোসেন (৩০),৪ কর্মচারী হলো জগন্নাথপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের নিতেশ রায়ের পুত্র লিংকন রায়(৩০),নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের তপথিবাগ গ্রামের ছমেদ মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া(৪০),একই গ্রামের শফিক উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কালাম,বটপাড়া গ্রামের কুতুব উদ্দিনের পুত্র আবুল কালাম (৪২)।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান,আমাদের কাছে খবর আসে ব্যবসায়ী নোমান হোসেন খোলা বাজারে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছেন। সরেজমিনে এসে আমরা সত্যতা পাই। পাশের জগন্নাথপুর থানায় তার একটি গগুদাম ঘর থাকায় জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান টিসিবি পণ্য উদ্ধার করি। জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ উভয় থানায়ই মামলা করা হবে।