খাতা মূল্যায়নের পর নম্বর গণনায় ভুল করায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ২৯০ পরীক্ষক উত্তরপত্র দেখার সুযোগ হারিয়েছেন। একই সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রেও তাদের কোনো দায়িত্ব না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুন্দ্র জানান, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে নির্ভুল করার লক্ষ্যে একাধিকবার পরীক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারপরও ২৯০ পরীক্ষক খাতা দেখায় বড় ভুল করেন। খাতা পুনঃনিরীক্ষণের সময় সেটা ধরা পড়ে। এ কারণে শা’স্তি হিসেবে তাদের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ২৫ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া থেকে ব’ঞ্চিত হয়। তারা খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করলে ১৩১ পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে ৩০ পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেন। একই সাথে খাতা দেখায় ভুল করা পরীক্ষকদের তালিকা করে শিক্ষাবোর্ড।
একই বছর জেএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে ১০ হাজার ৭৪৬ শিক্ষার্থী। অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর খাতা পুনঃনিরীক্ষণ করা হলে ১৫৯ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়।
এর মধ্যে ফেল করা ৫৪ জন শিক্ষার্থী পাস করে। জিপিএ-৫ পায় ৮৩ জন। এরপর খাতা দেখায় ভুল করা ১৫৯ জন পরীক্ষকের তালিকা করে বোর্ড। বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শা’স্তিস্বরূপ ২০২০ সালের এসএসসিতে ভুল করা ১৩১ জন ও জেএসসিতে ১৫৯ জন সর্বমোট ২৯০ পরীক্ষককে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে বি’রত রাখা হচ্ছে।