আজ শনিবার নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার রয়েল রিসোর্টে নারীসহ হোটেলে আটক হয় হেফাজত নেতা মামুনুল হক। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তবিদুর রহমান।
উল্লেখিত স্থানে উপস্থিত ছিলেন সাম্প্রতিকের সাংবাদিক ও প্রেরিত কয়েকটি ভিডিও সাম্প্রতিকের হাতে আসে। মামুনুলকে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অসংলগ্ন উত্তরের প্রেক্ষিতে সবার সন্দেহ হয়। এতে দেখা যায়, মামুনুল দাবি করেছেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী, দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ওনার দেয়া নামের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায়নি ওই যুবতীর। এছাড়া ওই যুবতী নিজের শ্বশুরের নাম জানেন না। মামুনুল হকের পরিবারও এই বিবাহ সম্পর্কে অবগত নয়।
এছাড়া উনার বউ দাবি করা ওই যুবতীর ঠিকানা জানেন না মামুনুল হক। এদিকে সেই যুবতীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ভয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বলে জানায় সময় টিভি সহ একাধিক সাংবাদিক।
তবে ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে মামুনুল প্রায়ই নিরব থাকেন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, মামুনুল হক সকালে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষটিতে উঠেন। দুপুর থেকেই এলাকায় চাউর হয় মামুনুল হক এক নারীসহ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। এই খবরে এলাকার লোকজন রিসোর্টটি ঘেরাও করে।
এদিকে মামুনুল হকের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, অনেকদিন ধরেই মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতের নেতাদের বিষয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নানামুখী এ ষড়যন্ত্রের মধ্যে আজকের এ ঘটনাটিও ষড়যন্ত্র কিনা, আমরা দলীয়ভাবে তা খতিয়ে দেখব। ঘটনাটি আমরা মাত্র কয়েক মিনিট আগে শুনেছি, আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বশীলরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।