কোটা আন্দোলনের নেতা হাসান আল মামুন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী অবিলম্বে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপরাধী ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে এই অনশন শুরু করেন তিনি। এ সময় একাত্মতা জানিয়ে তার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের অন্তত ২২ জন নেত্রী।
২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন তিনি।
এতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (বর্তমানে সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।
পরদিন একই বাদী কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তবে ১৭ দিন পার হলেও এসব মামলা কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় অনশনে বসেছেন মামলার বাদী।
অনশনরত শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে ধর্ষণ একটা মহামারি আকার ধারণ করেছে। আমিও একজন ভুক্তভোগী। এর আগে লালবাগ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছি।
এখন পর্যন্ত এ মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমার এই আমরণ অনশন কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার রাতে আটটার দিকে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন তিনি। পরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের ২২ নেত্রীও তার সাথে একাত্মতা জানিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। অনশনে একাত্মতা জানিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী।
ওই ছাত্রী অনশন করছে। তাই তাকে সাহস যোগানোর জন্য, তার দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে আমরা তার পাশে এসে বসেছি। দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা তার পাশে থাকবো।