রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (আরএনপিপি) নিরা”পত্তায় ফোর্স বেইজ নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীর দাবি”কৃত জমিতে থাকা জনবসতি এলাকা বাদ দিয়ে পতিত জমি দিতে রেলমন্ত্রণালয়ে নতুন নকশা প্রদান করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম ও কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি পাকশী থেকে উচ্ছেদ আত”ঙ্কে থাকা হাজারো পরিবারের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে (ডিইও) জনবসতি বাদ দিয়ে পতিত জমি সেনাবাহিনীকে প্রদান করার লক্ষে নতুন করে নকশা প্রদানের জন্য পরামর্শও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাকশীকে ঈশ্বরদীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার লক্ষে আবাসিক এলাকাকে প”তিত জমি দেখিয়ে রেলওয়ের একটি চ”ক্র সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা বেইজ নির্মাণের জন্য নকশা প্রনয়ন করে দিয়েছে।
পাকশীকে র”ক্ষা করতে ও উ”চ্ছেদ প্রতি”রোধে পাকশীর হাজারো পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মানব”বন্ধন, স্মা”রকলীপি প্রদান, সংবাদ সম্মে”লন, সভা-সমাবেশ চালিয়ে আসছে।
পাকশী রক্ষা কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা জনতা সংবর্ধনা কমিটি ও রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আরএনপিপি নিরাপত্তাজনিত ফোর্স বেইজ নির্মাণের জন্য রেলওয়ে থেকে সেনাবাহিনীকে চার ধাপে ১৪৭ একর জমি প্রদান করা হবে। এই জন্য করা হয়েছে নকশা। আর এই নকশার মধ্যে রেলওয়ের কর্মচারীদের বসবাসকৃত এমএস কলোনি, হরিজন কলোনি, ঝাউদিয়া কলোনি, বাবুপাড়া কলোনি, বাজারপাড়া কলোনি, মেরিনপাড়া কলোনি ও ব্যারাকপাড়া কলোনির মতো ৭টি বিশাল আবাসিক কলোনি পড়েছে। যেখানে ৮০০ বাসা-বাড়ি রয়েছে।
এ ছাড়াও ঈশ্বরদী ইপিজেড পাকশীতে হওয়ায় শ্রমিকের একটি বিশাল অংশ পাকশীতে বসবাস করছেন। আর রেলওয়েকে ঘিরে পাকশীতে একটি বিশাল বাজার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আবাসস্থল, এমপিওভুক্ত ডিগ্রী কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, শারিরিক শিক্ষা কলেজ, মাদ্রাসা, বিশাল এতিম খানা, দুইটি মসজিদ, ঈদগাহ ময়দান, দুইটি মন্দির, একটি গির্জা, একটি নারী মঙ্গল সমিতি, একটি খেলার মাঠ, কয়েক হাজার শতবর্ষি বৃক্ষ, বদ্ধ ভূমি, মুক্তিযোদ্ধাদের কবর, একটি প্রাচীন কবরস্থান, রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) কার্যালয়, ১৫টি বিভাগীয় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, বিভাগীয় ট্রেন কন্ট্রোল অফিস, জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, রেলওয়ে পুলিশ লাইন, রেলওয়ে পুলিশ ব্যারাক, রেলওয়ে হাসপাতাল, রেলওয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পানি সরবরাহ কেন্দ্র, অফিসার কলোনী, ভিআইপি রেস্ট হাউজ, অফিসার্স ক্লাব, রেলওয়ে মিলনায়তন, পোস্ট অফিস, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ব্যারাক, কর্মকর্তাদের ১৮টি বাংলো, এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে।
রেলওয়ের একাধিক সূত্র মতে, পাকশীর রেলওয়েতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা উচ্ছেদ করে সেনাবাহিনীকে জমি দিতে দেওয়ার আগে তাঁদের পুনর্বাসন করা প্রয়োজন। এই জন্য রেল মন্ত্রনালয়ের নিকট ৩১ কোটি টাকার একটি চাহিদাপত্র পাকশী থেকে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই চাহিদাপত্রের কোনো সদত্তোর এখনো পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয়ে ফিরে আসেনি। এই জন্য কাউকেই এ মহুর্তে উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে না বলে দাবি করেন সূত্রগুলো।
শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ রশিদুল্লাহ ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, পাকশী আমাদের অস্তিত্ব। আমাদের জন্মভূমি। আমরা ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে মাটিকে রক্ষা করতে যুদ্ধ করেছি। সেই মাটি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার জন্য। দেশের উন্নয়নে আমরা গর্বিত। পরদেশ থেকে আসা প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গাকে এদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় দিয়েছেন। আর আমরা এদেশেরই সন্তান। দেশ মাতৃকার জন্য যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছি। আর আজ ষড়যন্ত্র করে আমাদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা জনতা সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কাজী সুদরুল হক সুধা জানান, আবাসিক এলাকা উচ্ছেদ না করেও রেলওয়ে সেনাবাহিনীর দাবিকৃত জমি দেওয়ার মতো পতিত জমি রেলওয়ের আছে। এই পতিত জমির নকশা করে আমরা পাকশীবাসীর পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম ও কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপির নিকট জমা দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁরা পাকশীর কৃতিসন্তান। তাঁরা বিষয়টি উপলব্ধি করে আবাসিক এলাকা উচ্ছেদ না করে পতিত জমি দিতে আমাদের দেওয়া নকশা অনুসারে নতুন করে নকশা করতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও রেল মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বেশ কিছুদিন পূর্বে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি মহাদয় আমাকে রেলওয়ের আবাসিক এলাকা বাদ দিয়ে পতিত জমি থেকে সেনাবাহিনীকে জমি প্রদানে নকশা তৈরির পরামর্শ দেন ও বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। জমি প্রদানের বিষয়টি রেল মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে। তাই রেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য এমপি মহাদয়কে অনুরোধ করেছি। রেল মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে যদি কোনো আদেশ তাঁরা আনতে পারেন, তখন সেই আদেশ মোতাবেক কাজ করছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment