পাকিস্তান গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ এ তার নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি রাদ-২ (হাতাফ-৮) এয়ার লাউঞ্চ ক্রুজ মিসাইল (এএলসিএম) এর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করে। আসলে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রাদ-২ ক্রুজ মিসাইলটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মিরেজ-৩ জেট ফাইটার থেকে সুনিদিষ্ঠ দুরুত্বে ল্যাবড বেসড টার্গেটে সফলতার সাথে হীট করে। রাদ-২ ক্রুজ মিসাইলটিকে স্থল এবং সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে স্ট্র্যাটেজিক স্ট্যান্ডঅফ ক্ষমতা প্রদানের বিষয়টিকে মাথায় রেখে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১,১০০ কেজি ওজনের রাদ-২ মিসাইলের দৈর্ঘ্য 4.85 মিটার এবং ব্যাস 0.5 মিটার। অন্যদিকে, ৫৫০-৬০০ কিলোমিটার পাল্লার মিডিয়াম রেঞ্জের রাদ-২ ক্রুজ মিসাইলটি নিউক্লিয়ার এবং প্রচলিত উভয় ধরণের ওয়ারহেড বহণ করতে সক্ষম। পাকিস্তানের এয়ার ওয়েপন্স কমপ্লেক্স (এডাব্লিউসি) মিসাইলটি ডিজাইন ও উৎপাদন করে এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনী এর মূল ব্যবহারকারী।
রাদ-২ ক্রুজ মিসাইলে উচ্চ প্রযুক্তির গাইডেন্স এণ্ড নেভিগিয়েশন সিস্টেম ইন্সটল করা হয়েছে সুনিদিষ্ট লক্ষবস্তুকে চিহ্নিত করার জন্য। তবে প্রকাশ থাকে যে, জেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত রাদ-২ ক্রুজ মিসাইলের গতি কিন্তু সামবসনিক বা সর্বোচ্চ ০.৮ ম্যাক। পাকিস্তানের ভাষ্যমতে, ভারতের ‘নির্ভয়’ ক্রুজ মিসাইলের শক্ত জবাবে তারা রাদ-২ (হাতাফ-৮) সিরিজের এয়ার লাউঞ্চ বেসড ক্রুজ মিসাইল সার্ভিসে এনেছে। তাছাড়া পাকিস্তানের লাহোর থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লীর দুরুত্ব মাত্র ৪৩০ কিলোমিটার হওয়ায় পাকিস্তানের জেট ফাইটার ভারতের আকাশ সীমায় প্রবেশ না করেই নিরাপদ দুরুত্বে থেকেই ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় রাদ-২ স্ট্যাণ্ডঅফ ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে মনে করা হয়।
সিরাজুর ইসলাম