পাবনার বেড়া উপজেলার দুর্গম চরে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হওয়া সেই বৃদ্ধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে তাঁর নমুনা পরিক্ষার ফল পাওয়ার পর বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই বৃদ্ধের স্বজনদের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁকে আজ মঙ্গলবার (৫মে) সকাল ১১টার দিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নতুনভারেঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত যমুনা নদীর দুর্গম চরসাফুল্যা গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধকে (৭০) ফেলে রেখে যাওয়া হয়। ওই বৃদ্ধের শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। এলাকাবাসীর ধারণা করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকার কারণেই যাত্রীবাহী কোনো নৌকা থেকে ওই বৃদ্ধকে সেখানে নামিয়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ হয়ে তিনি গ্রামের একটি বাড়ির কাছে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। এতে ২০ এপ্রিল ইউএনও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি করে রাখা হয়। এর পরদিন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হয়। গত শুক্রবার (১ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ওই বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত নন। ইতিমধ্যেই তিনি জ্বর-কাশি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই বৃদ্ধের স্বজনদের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে বিপাকে পড়ে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ । করোনায় আক্রান্ত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রশাসন তাঁকে পুনর্বাসনের নানা উদ্যোগ চালিয়ে আসছিল। গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইউএনও। গত সোমবার তাঁর জন্য সেখানে একটি সিট পাওয়া যায় বলে জানা যায়।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মোঃ জাহিদ হাসান সিদ্দিক বলেন, ঐ বৃদ্ধের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে তাঁর নমুনা পরিক্ষার ফল থেকে আমরা জেনেছি যে ওই বৃদ্ধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। তাঁর কোনো স্বজনের সন্ধান না পাওয়ার কারণে আমরা তাঁকে ছেড়ে দিতে পারিনি। তাঁকে পাবনা মাসসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে কিছুদিন সেখানে থাকলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও জানান বেড়া উপজেলা করোনা সন্দেহে এ পর্যন্ত ২৮ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল সবারই রির্পোট নেগেটিভ এসেছে।
ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ঐ বৃদ্ধ মারাত্মক অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে আনার পর থেকেই আমরা তাঁর প্রতি যতœবান ছিলাম। তাঁকে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন বিকল্প বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। তবে পাবনা মানসিক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির বিষয়েই আমাদের আগ্রহ ছিল বেশি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে সেখানে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় ভালো লাগছে। তবে পরর্বতীতে যদি কেউ উনার পরিচয় নিয়ে আসে তবে মানসিক হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে পারবেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment